পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ১৬৪ ] নৈয়ায়িক হইতে পারেন, দার্শনিক হইতে পারেন, বৈজ্ঞানিক হইতে পারেন, পৌরাণিক হইতে পারেন কিন্তু তাহাকে সাধনের অধিকারী বলা যাইতে পারে না । অনেকের মনে এই সংশয় হইতে পারে যে,এখন এমন জাপক ব্রাহ্মণ আছেন, এখন এমন হোতা আছেন, এখন এমন গ্রহ যাগ যজ্ঞাদিদক্ষ ব্রাহ্মণ আছেন যে, তাহাদের দ্বারা গৃহস্থের শাস্তি বিধান হয় । ইহ ব্রাহ্মণের দৈবশক্তি ব্যতীত আর কি বল। যাইবে ? এই প্রকার শক্তি সম্পন্ন হইবার যে সাধনা, তাহাদের প্রকৃত পক্ষে সাধনা বলা যায় না । ভগবান এবং ভগবানের ঐশ্বৰ্য্য সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র পদার্থ। রামকৃষ্ণদেব বলিতেন যে, রাজার সহিত আলাপ করিতে কে চাহে ? রাজার বাগান দেখিয়া, বাগানের পরী দেধিয়াই সকলের মাথা ঘুরিয়া যায়। অর্থাৎ যাহার সিদ্ধি শক্তি সঞ্চার হয়, তিনিই অমনি আপনাকে সৰ্ব্বোচ্চ জ্ঞান করিয়া সেই অভিমানেই স্ফীত হইয়া পড়েন । আর ভগবানের দিকে যাওয়া ঘটিয় উঠে না । যিনি জপ করিয়া ভগবানকে কিঞ্চিৎ প্রসন্ন করিতে পারিয়াছেন, তিনি ভগবানকে ভুলিয়। সেই প্রসন্নতা অর্থের নিমিত্ত অপরকে বিক্রয় করিতেছেন । যিনি যাগ যজ্ঞের দ্বারা যজ্ঞেশ্বরের আসন টলাইতে পারিয়াছেন, তিনি অর্থের অনুরোধে তাহাকে যত্ন পূৰ্ব্বক অন্য স্থানে লইয়া যাইতেছেন। এ স্থলে তাহাদিগকে সাধনের অধিকারী বলা যাইবে কিনা, তাহ চিন্তা করিয়া দেখিলেই বুঝা যাইবে । কাৰ্য্যক্ষেত্রে দেখা যায় যে, রামকৃষ্ণদেব যাহা বলিয়া গিয়াছেন, তাহ ব্যতীত অষ্ঠের সাধনার অধিকার নাই। রামকৃষ্ণদেব সাধনের অধিকারী সম্বন্ধে যাহা কহিয়া গিয়াছেন, তাহ তাহার অভিনব মত নহে, এই কথা তিনি চারিযুগ বলিয়া আসিতেছেন, ভাবিয়া দেখিলে নূতন কিছুই বলেন নাই। সাধক এবং গৃহীর এক জাতীয়