পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৬৭ ] গৃহী কিরূপে জানিবেন ? এই জন্য বর্তমান কালে গুরুকরণ দ্বারা কোন ফল ফলিতেছে না। গুরু যাহা জানেন, শিষ্যও তাহ জানেন । শিষ্য অপেক্ষ গুরু না হয় কয়েকটা সংস্কৃত শ্লোক জানেন, তাহা দ্বারা বিশেষ ক্ষতি বৃদ্ধি হয় না। রামকৃষ্ণদেব তন্নিমিত্ত বলিতেন যে, আমলি করকে করে ধ্যান গৃহী হোকে বাতায় জ্ঞান ; যোগী হোকে কুটে ভগ, এ তিন আদমি কলিকা ঠগ । অর্থাৎ নেশা করিয়া ধ্যান করা, গৃহী হইয়া জ্ঞানগর্ভ উপদেশ দেওয়া, যোগী হইয়া কামিনী সেবা করা, এই প্রকার স্বভাববিশিষ্ট ব্যক্তিরা কলিকালের জুয়াচোর। যাহার নেশা করিয়া ঈশ্বর সাধনা করেন, র্তাহাদিগকে কলির ঠগ বলা হইয়াছে। তাহার হেতু কি ? চিত্ত স্থির করা সাধনের উদ্দেশু। কিন্তু সংস্কার এবং সঙ্কল্পগ্রন্থ চিত্ত পূর্ণ হইবে কিরূপে ? ধ্যান করিতে বলিলেই নানা দিকে ছুটিয়া বেড়ায় । মনের এই চাঞ্চল্য নিবারণের নিমিত্ত সাধকশ্রেণীবিশেষে গাজার ধুম এবং মদিরিক পানের আধিক্যতা দেখা যায়। এই সাধকেরা যদিও সাধনা করেন বটে কিন্তু অন্তর অপরিস্কার এবং ভাব অপ্রস্ফুটিত থাকে বলিয়া সে সাধনায় বিপরীত ফল জন্মায় । ভগবানের দিকে অগ্রসর হওয়া দূরে থাকুক, তাহাদিগকে ঠগ শ্রেণীভুক্ত হইয়া যাইতে হয়। তাহার কারণ এই যে, সে স্থানে ভাবের ঘরে চুরি হইয়াছে। বাহিরে যাহা তাহারা প্রকাশ করেন, ভিতরে তাহা নহে। এই প্রকার সাধকদিগের পতন সঙ্কল্পের নিমিত্তই হয়। অতএব সঙ্কল্পবিবর্জিত হওয়া সাধকের লক্ষণবিশেষ। গৃহী যাহারা, তাহাদের সঙ্কল্পের অবধি নাই। তাহারা কামিনীকাঞ্চলের সহিত আত্মার সম্বন্ধ স্থাপন পূৰ্ব্বক অবস্থিতি