পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ১৭১ ] বস্ত্র চাপা পড়িয়াছে কি না, শয্যায় পিপীলিকা উঠিয়াছে কি না। শিশু কনদিলে মাত সমদাষ কাৰ্য্য পরিত্যাগ করিয়া ছুটিয়া শিশুকে ক্রেগড়ে লইয়া স্তন্য সুধা দান করেন। সেইরূপ যে গৃহা একেবারে কার্য্যে শিশুর ন্যায় অবস্থায় পতিত হন, তাহার জন্যই মা প্রস্তুত আছেন । অতএব গৃহী হইয়া যদ্যপি সাধন করিতে হয়, তাহদের পক্ষে তপশ্চরণ নহে, সংযমী হওয়া নহে, কঠোর ব্ৰতাদি পালন করা নহে, দয়ায় পাত্ৰ হইবার সাধনই এক মাত্র সাধন, যে নরনারীর এই ভাব উপস্থিত হইবে, তাহরাই সংসারক্ষেত্রে সাধনের অধিকারী এবং অধিকারিণী । এক্ষণে বুঝিলাম যে, সঙ্কল্প হইতে জীবের উৎপত্তি, সঙ্কল্পে জীবের স্থিতি এবং সঙ্কল্পের দ্বারা পরিণাম নিরূপিত হইয়া থাকে। সঙ্কল্পবিহীন নরনারীদিগকে মুক্ত কহ যায়। অতএব সঙ্কল্প ক্ষয়ের নিমিত্ত যাহাদের অভিলাষ জন্মায়, তাহারাই সাধনের অধিকারী এবং অধিকারিণী। ইহাতে জাতি বা বর্ণ বিচার নাই। বালক বৃদ্ধ নাই, স্ত্রী পুরুষ নাই। যিনি সঙ্কল্পের পাশ ছিন্ন করিতে ইচ্ছা করিবেন, তিনিই অধিকারী হইবেন । কিন্তু আমাদের উপায় কি ? আমরা যে কেহই অতি পরিমণজ্জিত ধীশক্তিসম্পন্ন পুরুষই হই, অথবা সমাজিক উচ্চ পদস্থ ব্যক্তিই হই, সঙ্কল্পবিবর্জিত না হইলে যখন আত্মজ্ঞান লাভের উপায় নাই, ভগবানের দর্শনের সম্ভাবনা নাই, তখন পরিণাম চিন্তা করিলে কণ্ঠ শুষ্ক না হইবে কেন ? আমরা পিতা মাতার সঙ্কল্পে জন্মিয়াছি, আমরা । নিজে প্রতিক্ষণে অসীম প্রকার সঙ্কল্প করিতেছি, ইহার পরিসমাপ্তি কি কখন হইবে ? সঙ্কল্পস্থত্রে এ ঘর ও ঘর, এ দেশ ও দেশ, এজাতি ওজাতি করিয়া বেড়াইতেছি । আজ সঙ্কল্পের নিমিত্ত রাজরাজ্যেশ্বর,