পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[t) ایالا] শোণিত এবং বায়ু যদিও জীবনলাভ এবং রক্ষার কারণ বটে, কিন্তু জীবনীশক্তি না থাকিলে ইহার কেহই কোন কাৰ্য্য করিতে পারে না। যখন কোন অঙ্গ বা প্রত্যঙ্গ পচিয়া যায়, তখন সে স্থানে শোণিতের অভাব হয় এ কথা বলা যায় না, পূৰ্ব্ববৎ থাকে। সেই ব ক্তির অপরাপর অঙ্গাদি তখন স্বভাবে থাকিতে দেখা যায়। যে স্থানের জীবনীশক্তি কমিয়া যায়, তথায় শোণিত নিষ্ক্রীয় হইয় পড়ে । এই নিমিত্ত জীবনীশক্তিই জীবনযাত্রা নিৰ্ব্বাহের এক মাত্র উপায়স্বরূপ । স্বাভাবিক নিয়মে যেমন পদার্থ সকল জন্মায়, কিয়ৎকাল থাকে এবং কালে বিলয় প্রাপ্ত হয়, মনুষ্যজীবনও তদ্রুপ জ্ঞান করিয়া অনেকে আপনার সুখ স্বচ্ছন্দতার দিকে একমাত্র দৃষ্টি রাখিয়া দিনযাপন করিতে চাহেন। এই শ্রেণীর ব্যক্তিরাও আত্মা বিশ্বাস করেন না । যাহারা আত্মা বিশ্বাস না করেন, র্তাহারা পরজন্ম মানেন না, সুতরাং তাহাদের আত্মার উন্নতি অবনতির দিকে দৃষ্টি রাখিবার আবশ্যকতা থাকে না । যাহাদের এই প্রকার ধারণা এবং বিশ্বাস, তাহারা সংসারের পক্ষে অতি ভয়ানক ব্যক্তি । র্তাহাদের নিকট সম্বন্ধ বিচার থাকে না, তাহারা অবাধে যথেচ্ছাচারিতার পরিচয় দিয়া যাইতে পারেন । আজ কাল এই শ্রেণীর লোকই অধিক । আমি বার বার বলিয়া থাকি যে, আমিও ঠিক এই শ্রেণীর একজন ছিলাম। আত্মা বিশ্বাস করিতাম না, সুতরাং স্থষ্টিকৰ্ত্তাকে বিশ্বাস করিবারও প্রয়োজন বুঝিতাম না। স্বভাবে আপনি হয়, আপনি থাকে, আপনি অদৃশু হইয়া যায়, তাহাতে স্থষ্টিকৰ্ত্ত বিশ্বাস করিবার আবশ্যকতা কি ? স্বষ্টিকর্তা বিশ্বাস করিতে হইলে সাক্ষাৎ সম্বন্ধে পিতা মাতাকেই বিশ্বাস করা উচিত । কিন্তু তাহাদিগকে ঈশ্বর ঈশ্বরী বলিয়া ধারণা হয় না ।