পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/২১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

1 سراجد ] সমাগত হইয়া জীবদেহ রক্ষা এবং পরিবর্দ্ধন করিয়া থাকে। ভূতশব্দ প্রয়োগ না করিলে যদ্যপি রূঢ়পদার্থৰ্বন্দের যৌগিক বলিয়া দেহকে উল্লেখ করা যায়, তাহা হইলে উহা পঞ্চীকৃত অর্থাৎ বিশ্লিষ্ট করিলে জলীয়াংশ হয়, তদাকারে থাকিতে পারে, না হয় উহা রূঢ়াবস্থা প্রাপ্ত হইয়া মুক্ত অথবা অন্য কোন যৌগিক ভাবে পর্য্যবসিত হইতে পারে। অঙ্গার এবং অন্যান্য পদার্থের প্রায় যৌগিকরূপে অন্যান্য পদার্থের দ্বার আকৃষ্ট হইয়া থাকে। এই পদার্থনিচয় কিয়দৃপরিমাণে উদ্ভিদূরাজ্যে, কিয়দৃপরিমাণে পার্থিবপদার্থের সংযোগে এবং কিয়দৃপরিমাণে বায়ু ব৷ অন্য কোন ভাবে থাকিয়া যায়। বায়ু এবং পার্থিবভাব হইতে এই পদার্থ সকল উদ্ভিজ্জে শোষিত হয়। উদ্ভিদ এবং সাধারণ জান্তবরাজ্য হইতে উহা মনুষ্যদেহে প্রবেশ করিয়া থাকে। আমাদের যখন প্রথম স্বত্রপাত হয়, তখন হইতে মৃত্যুকাল পর্য্যন্ত দেহের অবস্থা ভাবিয়া দেখিলে বুঝা যায় যে, আহাৰ্য্য পদার্থ হইতেই শরীর গঠিত হইয়৷ থাকে। আমরা যাহা আহার করিয়া থাকি, তাহা হইতেই শরীর সংগঠিত হইয়া থাকে এবং সেই সকল পদার্থ উদ্ভিদ এবং সাধারণ জাস্তব বস্তু হইতে প্রাপ্ত হওয়া যায়। এক্ষণে বিচার করিয়া দেখিলে স্পষ্ট জ্ঞাত হওয়া যায় যে, এক প্রকার পদার্থ সকল দেহের নিদানস্বরূপ । অঙ্গার বলিয়া যে বস্তুটী আমার দেহে আছে, সেই অদ্বিতীয় পদার্থটা কি তোমার দেহে নাই ? অথবা মুসলমানের দেহে কিম্বা অন্য কোন জীব জন্তু বা উদ্ভিদ ও পার্থিব পদার্থে নাই ? এক অঙ্গর সৰ্ব্বত্রে পরিলক্ষিত হইতেছে । তেমনি অন্যান্য পদার্থ সকলও একভাবে সৰ্ব্বত্রে বিরাজ করিতেছে। এক্ষণে আমি কি বলিতে পারি না যে, আমার দেহও যাহা, তোমার দেহও তাহা, অপরের দেহও তাহা ? সকলের শোণিত এক, সকলের অস্থি এক, সকলের যন্ত্রাদি এক, শরীর