পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/২১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

لك ه هاد ] থাকেন। সেই দেহে এবং তাহার ঔরসজাত পুত্র কন্যাদিরূপে কার্য্যের ফলভোগ করিয়া থাকেন। ইতিপূৰ্ব্বে বলিয়াছি যে, আত্মাবিশেষে আত্মা মিলিত হইলে ভাবান্তর উপস্থিত হয়। কিন্তু এক্ষণে আমি পুনরায় সেই কথাই বলিতেছি। যদ্যপি কিঞ্চিৎ ভাবিয়া দেখা যায় তাহা হইলে বুঝা যাইবে যে, আমার এই কথার ভিতরে অন্য অর্থ আছে। স্বজাতীয় এবং বিজাতীয় আত্মা বলিয়া আত্মাদিগকে দুই শ্রেণীতে বিভাগ করা যায়। স্বজাতীয় আত্মা স্বজাতীয় আত্মা পাইলে মিলিতে পারে কিন্তু বিজাতীয় হইলে সুতরাং গোলযোগ বাধিয়া থাকে। যেমন, সাধু সাধুর সহিত বাস করিতে পারেন, অসাধু কথন সাধুর নিকটে থাকিতে পারে না। মাতাল মাতালকে চাহে, গেজেল গেজেলকে চাহে, সতী সতীকে চাহে, বেস্তা বেস্তাকে চাহে । সতীতে বেষ্ঠাতে কখন সদ্ভাব স্থাপন হইয়। একআত্মা হইতে পারে না। সেইরূপ আত্মাসকল আপনাপন অনুকুল আত্মাবিশিষ্ট দেহে প্রবেশ করিয়া সঙ্কল্প সাধন করেন। আমরা স্পষ্ট দেখিতে পাই যে, জরায়ুনিহিত আত্মার যে অবস্থ৷ ভূপৃষ্ঠস্থিত আত্মার সেরূপাবস্থা নহে। বাল্যকালে তাহার আত্মা যে প্রকার, যুবাকালে সে প্রকার থাকে না, প্রৌঢ় এবং বৃদ্ধ কালের কথাও তদ্রুপ বলিয়া প্রতীয়মান হইয়া থাকে। এ কথা মিথ্যা নহে যে, শিশু মাতৃগর্ভ হইতে বাহির হইয়া জীবনের পূর্ণভাব লাভ করিয়া থাকে। কালসহকারে পাঞ্চভৌতিক দেহ যেমন বৰ্দ্ধিত হয়, তেমনি আত্মার কাৰ্য্যও দিন দিন বাড়িয়া থাকে। বাহিরের পদার্থ সকল শরীরে প্রবেশ করিয়া শরীরের পুষ্টি এবং পরিবর্দ্ধন সাধন করিলে তাহার শক্তি বুদ্ধি হয় কিন্তু যদ্যপি বিজাতীয় পদার্থ কোনরূপে শরীরে প্রবেশপথ পায়, তাহাহইলে তৎক্ষণাৎ বিপরীত কাৰ্য্য হইতে থাকে । যেমন নাইড্রোজেন