পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/২১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ షిరిరి ] ছিলাম । তথায় রাম, লক্ষণ এবং সীতাকে দেখিয়া আসিলাম।” আর একদিন সমাধিভঙ্গের পর বলিয়াছিলেন যে, “আমি বৃন্দাবনে গিয়াছিলাম। তথায় যাইয়া দেখি যে, শ্ৰীকৃষ্ণ রাসলীলা করিতেছেন, আমি একজন সখী হইয়া আনন্দে বিহার করিয়া আসিলাম । শরীরের নিকট আসিয়া একবার ইচ্ছা হইল যে, আর খাচার ভিতর প্রবেশ করিব না। আবার মনে হইল, দিনকয়েক উহা লইয়া লীলারহস্য দেখিয়া বেড়াই । এই ভাবিয়া শরীরের ভিতরে পুনরায় প্রবেশ করিলাম।” আমরা দেখিয়াছি যে, তিনি সমাধিভঙ্গের সময়ে আপনাপনি বলিতেন যে, “এই ঘর, এই ঘরে অামি থাকি”, সম্মুখে কেহ থাকিলে কহিতেন যে, "ইহার কলিকাতা হইতে আসিয়াছে।” এইরূপে ক্রমে ক্রমে সমুদয় পদার্থ স্মৃতিপথে আনিতে চেষ্টা করিতেন, পরে সহসা হাসিয়া বলিতেন, “দেখ আমার কেমন এক রকম হইয়াছে, কিছুই স্মরণ থাকে না।” প্রভু রামকৃষ্ণদেব যে শরীর ত্যাগ করিয়া আত্মার স্থানান্তরে গমনাগমন করিতেন, তাহার একটা দৃষ্টান্ত প্রদান করিতেছি। প্রভু যখন পীড়ার চিকিৎসা করাইবার নিমিত্ত কলিকাতার উত্তর বিভাগস্থিত শ্যামপুকুরষ্ট্রীটে অবস্থিতি করিয়াছিলেন, সেই সময়ে একদিন রজনীকালে পরম প্রেমিক বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী মহাশয় ঢাকায় চলিয়া যাইবন বলিয়া বিদায় প্রার্থনা করিলে প্রভু কহিয়াছিলেন যে, “তুমি দিন কয়েক আমার নিকটে থাকিলে আমি বিশেষ আনন্দিত হইব । আমি তোমাকে দেখিতে বড় ভালবাসি।” গোস্বামীজী প্রেমপূর্ণভাবে গদগদম্বরে কহিলেন, “প্ৰভু! একি নূতন লীলা আপনার ? আপনার এই কথা বলিবার অর্থ আপনিই জানেন। আপনি কোন দিন দর্শন না দিয়া দাসকে কৃতাৰ্থ করেন?” প্রভু তাহার স্বাভাবিক অমিয় হাস্ত করিয়া বলিয়া উঠিলেন, তোমার বিশ্বাস যেরূপ, সেইরূপই বল, তুমি