পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/২২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ s • S ] ইহাদের সামঞ্জস্য করিয়া সৰ্ব্বত্রে কল্যাণ বিস্তার করিবার তিনিই একমাত্র কারণস্বরূপ হইয়াছেন । জ্ঞানী কখন বিজ্ঞানী এবং ভক্তের সহিত সহানুভূতি করিতে পরিবেন না, বিজ্ঞানী কখন জ্ঞানী এবং ভক্তের সহিত সহানুভূতি করিতে পারিবেন না, ভক্ত কখন জ্ঞানী এবং বিজ্ঞানীর সহিত সহানুভূতি করিতে পরিবেন না, এ কথা প্রত্যেকের প্রাণে প্রাণে নিহিত রহিয়াছে—এ কথা প্রতি শাস্ত্রে পরিচয় দিতেছেন। তাই বলেতেছি যে, যে কেহ সঙ্কল্পযুক্ত হইয়া ভাসিয়া যাইতেছেন, যে কেহ আত্মাকে স্বপ্রকাশ করিতে চাহেন যে কেহ সৰ্ব্বত্রে পপমাত্মার সুন্দর ভগতি নিরীক্ষণ করিতে চাহেন, তাহারা আসিয়া রামকৃষ্ণ নাম উচ্চারণ করুন, নামের গুণে কি হয় বা না হয় আপনাআপনি বুঝিতে পরিবেন। এ কথা কাল্পনিক নহে, এ কথা উপকথা নহে, এ কথা উপন্যাস নহে, এ কথা মনতুষ্টির নিমিত্ত নহে, ইহা প্রাণের কথা—প্রত্যক্ষ কথ। —প্রাণ জুড়াইবার কথা । অামি বলিতেছি না যে, সাধক,ভক্ত, জ্ঞানী, বিজ্ঞানীর অপনাপন পথ-সাধনা—পরিত্যাগ পূৰ্ব্বক রামকৃষ্ণ-সম্প্রদায়ভুক্ত হইয় যান ; যাহারা সাধন ভজনবিহীন, সঙ্কল্পের দ্বারা নাগপাশে আবদ্ধ হইয় পড়িয়াছেন, যাহারা বরাহরূপী নারায়ণের ন্যায় শূকরী ও শূকরশাবকের মায়ায় বিমোহিত হইয়া পতিত রহিয়াছেন, যাহাদের নিজের শক্তি নাই, ভক্তি নাই, জ্ঞান নাই, উপায় নাই, অর্থ নাই, সামর্থ্য নাই, যাহাদের আশ্রয়দাতা নাই, তাহাদের —সেই দীন হীন অজ্ঞান নরনারীদিগের –এক মাত্র উপায় শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ । Y 3