পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ s ] হওয়া যাইতেছে। জলের দৃষ্টান্তে জলীয় বাষ্পকে পূৰ্ব্ববৰ্ত্তী কারণ বলা হইয়াছে। জলীয় বাষ্প না থাকিলে শৈত্য আসিলে কাহার পরে কার্ষ্য করিবে ? মনে উদেশ্বরূপ পূৰ্ব্ববর্তী কারণ যদ্যপি পস্থিত না থাকে, তাহা হইলে উদ্দীপক কারণাদি দ্বারা কোন ফল ফলিতে পারে না । অথব উদেণ্ড থাকিলেও কারণবিশেষের দ্বারা তাহ সাধন করিবার প্রতিবন্ধক কিম্বা সহায়তা হইয়া থাকে। এই নিমিত্ত সাধন সম্বন্ধে এই কারণচতুষ্ঠয়ের দিকে দৃষ্টি না রাখিলে কখন উদ্দেশ্য চরিতার্থ হইতে পারে না । কাৰ্য্যবিশেষ সম্পন্ন করিতে হইলে কারণবিশেষের প্রয়োজন, সে পক্ষে কাহার মতভেদ হইতে পারে না । যে যে কারণ দ্বারা যে যে কাৰ্য্য সাধন হইবার কথা,সেই সেই কারণ গুলি যাহাতে বিকৃত হইয়া না যায়, এরূপ সতর্কভাবে কার্য্য করা বিধেয় । ঈশ্বর সাধনা সম্বন্ধে সেইজন্য বৈর লক্ষণ যুক্ত কারণদিগের কার্য্য হইতে সতর্ক থাকিতে হয় । এক্ষণে বিচার করিয়া দেখা যাইতেছে যে, সত্ত্ব রজঃ এবং তমো গুণের তাৎপৰ্য্য কি এবং ইহাদের মধ্যে ঈশ্বর সাধনা সম্বন্ধে কাহার সহায়তায় উদ্দেশ্য চরিতার্থ হইবার সম্ভাবনা । কথিত হইয়াছে যে, তমোর কার্য্য তামস ভাবে পরিপূর্ণ। তামস ভাব কাহাকে কহে ? তামস্ শব্দে অন্ধকার । যেরূপ রজনীর অন্ধকারে আমাদের পরিচিত এবং অপরিচিত কোন বস্তুই বুঝিতে পারি না, অতি পরিচিত ব্যক্তি নিকটে উপস্থিত থাকিলেও পরিচয় ব্যতীত তাহাকে চিনিতে পারা যায় না, এমন কি আপনাকেও আপনি দেখিতে পায় না । অন্ধকারের ধৰ্ম্মই এই প্রকার । সেইরূপ তমো গুণের আশ্রয়ে আত্মপর বিচার করিবার শক্তি একেবারে বিদূরিত হইয় যায়, কে আপনার পর কিছুই জানা যায় না, পরকে আপন বলিয়া ভ্রম জন্মায়, আপনি কে, কেমন, তাহারও কোন আভাস 志 উ \