পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/২৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ২২০ র্তাহাদের উদ্দেশ্য নহে, বেদাধ্যয়ন করা তাহাদের জীবনের ব্রত নহে । কেহ ন্যায়, কেহ স্মৃতি এবং কেহ বা পুরাণের অংশবিশেষ আয়ত্ত করণ পূৰ্ব্বক পণ্ডিতশ্রেণীভুক্ত হইয়া অর্থোপার্জনের নিমিত্ত দাস্যবৃত্তিবিশেষ অবলম্বন করিতেছেন, কিম্বা বিদায় প্রাপ্তির নিমিত্ত সৰ্ব্বদা ব্যতিব্যস্ত হইয়া থাকেন । ফলে ব্রহ্মচর্য্যাবস্থায় যে বিদ্যাশিক্ষা কর। হয়, তাহার উদ্দেশ্য অর্থোপাৰ্জ্জন করা। অতএব হিন্দুশাস্ত্রোক্ত ব্রহ্মচৰ্য্যাশ্রম বিরুত হইয়া গিয়াছে। দ্বিতীয়াশ্রমকে গাহস্তাশ্রম বলে । ব্রাহ্মণের ব্রহ্মচর্য্যাশ্রম হইতে কখন সংসারী হইতেন এবং কখন একেবারে চতুর্থাশ্রমের আশ্রয় গ্রহণ করিতেন । ক্ষত্ৰিয় বৈশ্যের প্রায় সকলেই দ্বিতীয়াশ্রমে অবস্থিতি করিয়া শাস্ত্রাদেশ মতে বানপ্রস্তাশ্রমী হইতেন । শূদ্রদিগের যদিও শ্রেষ্ঠ বর্ণদিগের সেবা ব্যতীত অন্য কোন আশ্রমের অধিকার ছিল না, কিন্তু কেহ সাধন ভজনাদি করিতে ইচ্ছ। করিলে তাহ শাস্ত্রনিষিদ্ধ বলিয়া উক্ত হইত না । সুসস্তান লাভ করা তখনকার গার্হস্ত্যাশ্রমের উদ্দেশ্য ছিল । সুতরাং যে রূপে স্থসন্তান জন্মিতে পারে, শাস্ত্রকারেরাও সেইরূপ ব্যবস্থা করিয়ছিলেন । এই নিমিত্ত র্তাহার ব্রহ্মচর্য্যাশ্রমের পর সংসারাশ্রমে প্রবেশ করিয়া শাস্ত্রবিহিত বিবাহ দ্বারা সংসারী হইতেন । ব্রাহ্মণের দৈব, অাৰ্য্য, প্রাজাপত্য, গান্ধৰ্ব্ব, আসুর, রাক্ষস এবং পৈশাচ প্রভৃতি অষ্ট প্রকার বিবাহের দ্বারা যে প্রকার সন্তান জন্মিয়া থাকে, শাস্ত্রকারের তাহাও উল্লেখ করিতে বিস্মৃত হন নাই । যে যে বিবাহের দ্বারা সুসস্তান জম্মিত, পূৰ্ব্বকালের হিন্দুরা সেইরূপ বিবাহের পক্ষপাতী ছিলেন। সেইজন্য র্তাহীদের সন্তান সন্ততির স্বধৰ্ম্মাদি প্রতিপালন করিয়া যাইতেন । বৰ্ত্তমানকালের সংসারের উদ্দেশ্য সুসস্তান নহে । স্বধৰ্ম্ম রক্ষা করিবে, এমন সস্তানের কামনায় কেহ বিবাহ করেন না ।