পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/২৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ༤ ཕི,> ] যে সকল বিবাহ শাস্ত্রাকুমোদিত, তাহা বৰ্ত্তমানকালে কেহ গ্রাহ করিতে চাহেন না। হিন্দুদিগের অতি ঘৃণিত আমুর বিবাহ বলিয়া যে বিবাহের উল্লেখ আছে, তাহা বিকৃত হইয়া এক্ষণে দেশবিস্তারিত হইয়াছে। পূৰ্ব্বকালে বরপক্ষ হইতে ইচ্ছামত অর্থ লইয়। কন্যাদানের নাম আমুর বিবাহ ছিল। এই বিবাহসস্তুত সন্তানের ক্র রকস্মা, মিথ্যাবাদী ও ধৰ্ম্মদ্বেষী হইত। বৰ্ত্তমান কালে পাত্রীপক্ষ হইতে অর্থ আদায় করিবার প্রথা প্রবাহিত হইয়াছে। বিবাহের পূৰ্ব্বে, কন্যার যে সকল লক্ষণ নিরূপণ করা আর্য্যদিগের নিয়ম ছিল, এক্ষণে তাহা পরিবৰ্ত্তিত হইয়া কত হাজার টাকা লভ্য হইবে, তাহাঙ্গ স্তির করা বিবাহের একমাত্র নিয়ম হইয়া দাড়াইয়াছে। ফলে, এরূপ বিবাহের দ্বারা যে সস্তান জন্মিতেছে, মনুসংহিতার তৃতীয়াধ্যায়ের ৪১ শ্লোকের লক্ষণের সহিত তাহাদিগের স্বভাব চরিত্র মিলাইয়া দেখিলে আতি অৰ্ব্বাচিন অহিন্দুও হিন্দুশাস্ত্র প্রণেতাদিগের বুদ্ধির পরাক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করিতে বাধ্য হইবেন । বৰ্ত্তমান কালের সংসার সংগঠন করিবার ব্যবস্থারূপ বিবাহ যে রূপে বিকৃত হইয়াছে, তদ্রুপ স্থলে সংসার যে কত সুখের স্থল হুইয়াছে, তাহা আমরা প্রত্যেক সংসারা প্রাণে প্রাণে প্রতিমুহূর্তে উপলব্ধি করিতেছি । বলিয়াছি যে, হিন্দুরা সস্তানদিগকে সৰ্ব্বপ্রথমে সংস্কারাদি দ্বার সংস্কৃত করিয়। জ্ঞানশিক্ষ। দিবার জন্য ব্রহ্মচৰ্য্যাবস্থায় রাখিয়া দিতেন । ইহাই পিতা মাতা অথবা কর্তৃপক্ষের একমাত্র কৰ্ত্তব্য ছিল । সংসারে লিপ্ত কর। তাহদের যে ঐকান্তিক উদ্দেশ্য ছিল, শাস্ত্র প্রমাণে তাহ বুঝা যায় না। কারণ, অষ্টবিধ বিবাহের মধ্যে পাত্রের অভিভাবকেঃ সাক্ষাৎ সস্বন্ধে বিবাহ বিষয়ে কোন সংস্রব থাকিত না দেখা যায় । , এই জন্য স্পষ্ট বুঝা যায় যে, পাত্র আপন ইচ্ছাক্রমে বিবাহ কাৰ্য্য সম্প