পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ه لا ] প্রাপ্ত হইবার উপায় থাকে না । অন্ধকারে কোন বস্তু অনুসন্ধান করিলে কোন মতে অভিপ্রেত পদার্থকে সহসা ধরা যায় না । বরং সতত ভ্রমে নিপতিত হইতে হয়। অনেকে অন্ধকারে পদার্থস্তির ভ্রমে কালসপের মুখে হস্তার্পণ করিয়া কালগ্রাসে পতিত হইয়াছে। সেইরূপ তমোগুণ বুদ্ধির ভ্রম জন্মাইয় প্রতিনিয়ত ভীষণ কালের করগত করিয়া নিশ্চিন্ত হয় । অভিমান বা অহঙ্কাররূপ অন্ধকারে প্রক্ষিপ্ত করা তমো গুণের কাৰ্য্য। তমোগুণে আমি এমন, আমি তেমন, আমার অমুক, আমার তমুক, আমি মতিমান, আমি ধীমান, আমি গুণবান, আমি সব বুঝি ইত্যাকার অমির অভিনয়—অহঙ্কারের অভিনয় —অন্ধকারের অভিনয় —করিতে সৰ্ব্বদ। নিয়োজিত করিয়া রাখে । তমো গুণে কখন কোন প্রকার পদার্থের প্রক্লত অবস্থা অবগত হইতে দেয় না। অন্ধকারে হীরকখগুও যে প্রকার, প্রস্তরখণ্ডও সেইপ্রকার দেখায় ; সুন্দর বস্তুও যে প্রকার, কুৎসিৎ কদাকার ও সেই প্রকার দেখায়। অন্ধকারে গুণের বিচার করা যায় না এবং বর্ণের বিচার চলে না । অন্ধকারে চক্ষু থাকিতে অন্ধ,স্পর্শশক্তি থাকিতে অজ্ঞান ; অন্ধকারে বিষামৃতের পার্থক্য বোধ বিলুপ্ত হয় এবং মল মুত্র অবাধে স্পর্শ করা যায়। তমোগুণে মনুষ্যদিগকে আত্মহারা করিয় রাখে। আমরা যেরূপে আমার আমার বলিয়া, আমি আমি করিয়া ঘুরিয়৷ বেড়াই, আমরা যেরূপ সৰ্ব্বদা অভিমানের পরিচয় দিয়া থাকি, তাহা প্রকৃত তমোগুণের কার্য্য । শেষবিধ ক্লেশ পাইবার হেতুকে রজোগুণ কহে অর্থাৎ যে যে কার্য্য দ্বার। আমর। ক্লেশপ্রাপ্ত হইয়৷ থাকি,তাহাকে রজোগুণ বলা যায়। বিদ্য। দ্বারা হউক, ধনের দ্বারা হউক, কিন্ধ আত্মীয়াদির দ্বারাই হউক, যে কোন স্থত্রে দুঃখান্নুভব করা যায়, তাহাকেই বুজো গুণপ্রসুত কহিতে