পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/২৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ২২৯ ] কেন ? ধৰ্ম্মের বিমল ছবি আমরা দেখিতে পাইব কেন ? ধৰ্ম্মের প্রাণজুড়ান ফল আমরা সম্ভোগ করিব কেন ? ধৰ্ম্মের মৰ্ম্ম জ্ঞাত হইবার আমাদের অধিকার কোথায় ? - সংসারে ধৰ্ম্মজ্ঞান লাভ হইবার কথা, সে সংসার আর নাই । সংসারে আমরা সকলেই স্বার্থপর, স্বার্থশষ্ঠ ভাব প্রত্যাশা করিব কেন ? আমি তোমার গলায় ছুরি দিবার সুযোগ অন্বেষণ করিতেছি, তুমি আমার গলা ন৷ কাটিয়া গল বাড়াইয় দিয়া মৃত্যুকে আলিঙ্গন করিবে, এ প্রত্যাশা করা যায় না। অামি আমার স্বার্থ এক পরমাণু কমাইব না, তুমি তোমার ষোল আন! ছাড়িয়া দিবে, এ প্রকার ভাব কখন হইবার নহে । সুতরাং স্বার্থপর সংসারে স্বার্থহীন পন্মের কোন ভাব স্থান পাইতে পারে না। বর্তমান হিন্দুসমাজ যেরূপ অবস্থায় আসিয়া উপস্থিত হইয়াছে, তাহাতে আশ্রমধৰ্ম্মের কার্য্য হইবার কোন সস্তাবনা নাই । ব্রহ্মচৰ্য্য, সংসার, বানপ্রস্থ এবং সন্ন্যাস, সংসারেই একাকার হইয়া গিয়াছে। সংসারের পুষ্টিসাধন, সংসারের উন্নতি, সংসারের কল্যাণ কামনা ব্যতীত অন্য কোন ধৰ্ম্মের প্রসঙ্গ নাই । সংসারের এই ছবি দর্শন করিলে ইহাকে হিন্দুর সংসারাশ্রম কহ যায় না। বর্তমান কালের হিন্দুর সংসার এক অভিনব ব্যাপার হইয়া উঠিয়াছে। না শাস্ত্রসন্মত বর্ণ বিচার, না আশ্রম বিচার দ্বার কার্য্য হইতেছে। কার্য্য হইবে কি, অধিকারী কোথায় ? পূৰ্ব্বে বলিয়াছি যে, হিন্দু ভাব হিন্দু রাজ ত্বাবসান কাল হইতে ক্রমে ক্রমে যবন এবং ম্লেচ্ছাদি অর্থাৎ নানাবিধ যৌগিক ভাবের আকার ধারণ করিয়াছে। হিন্দু রাজশাসনের সময়ে সৰ্ব্বত্রে বিশুদ্ধ হিন্দু ভাবের কার্য্য হইত, কেহ স্বেচ্ছার বশবৰ্ত্তী হইয়। চলিতে পারিতেন না। তাহা হইলে তিনি রাজদ্বারে দণ্ডনীয় হইতেন । যেমন প্রত্যেক স্বাধীন জাতির