পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/২৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ S్చరిe J জাতি রক্ষা করিবার নিমিত্ত সকলেই নির্দিষ্ট নিয়মে পরিচালিত হইতে বাধ্য হইয়া থাকেন, হিন্দুরাও সেইরূপ নিদিষ্ট নিয়মে চলিতেন । কিন্তু রাজার অবৰ্ত্তমানে ধৰ্ম্ম রক্ষা করিবে কে ? সুতরাং উহা ক্রমে ক্রমে সংকোচাবস্থায় পরিণত হইয়া আসিল । বিশেষতঃ যবনদিগের অত্যাচারে হিন্দুধৰ্ম্ম বিশেষরূপে ক্ষতিগ্রস্ত হইয়াছে। যদিও যবন রাজার হিন্দু ধৰ্ম্মের সাংঘাতিক শক্র ছিলেন, কিন্তু বিশেষ চেষ্টা সত্ত্বেও হিন্দু কুল নিমূল করিতে পারেন নাই। সমগ্র হিন্দু কুল যবন না হউক, কিন্তু যবনের সহবাসে, ক্রমে যাবনিক ভাব আসিয়া হিন্দুভাবের সহিত মিশ্রিত হইয়। হিন্দু যবনের যৌগিক ভাবে হিন্দ আধারে কার্য্য করিতে আরম্ভ করে। সুতরাং, যে হিন্দুর কেবল হিন্দু ভাব ছিল, সেই হিন্দু হিন্দ-যবন ভাবে পরিবর্তিত হওয়ায় হিন্দুর ভাবও বিকৃত হইয়। আসিল । যবনের পর ম্লেচ্ছাধিকার । এ সময়ে আমাদের হিন্দু ভাব দিন দিন কিরূপে বিকৃত হইতেছে, তাহ দেখিবার চক্ষু ন হইলে বুঝিবার উপায় নাই । সাহেব হওয়া আমাদের বর্তমান কালের একমাত্র আশ্রম ধৰ্ম্ম হইয়া গিয়াছে বলিলে ভুল হয় না। সাহেবা স্বভাব, সাহেবী চাল, সাহেবী পরিচ্ছদ, সাহেবী আহার, সাহেবী বিহার, সাহেবী চিন্তা, যদ্যপি ধৰ্ম্ম করিতে হয়, তাহাও সাহেবী ঢংএ । এইরূপ পরিবর্তনের ভাব আসিল কেন ? যেমন কোন পাত্রে কোন প্রকার পদার্থ থাকিলে তাহাতে অন্য পদার্থ রাখা যায় না। পূৰ্ব্ব পদার্থ যে পরিমাণে কমিবে, নূতন পদার্থ সেই পরিমাণে স্থান পাইবে । আমাদের হিন্দুর আশ্ৰমধৰ্ম্মাদি ভাব অনেক কাল গিয়াছে, সুতরাং মানস ভাণ্ড শুনা হইয়া রহিয়াছে । সাহেবদিগের মুখৈশ্বৰ্য্য, তাহাদের শারীরিক স্বচ্ছন্দতা, তাহাদের পারিবারিক আনন্দ সম্ভোগ এবং তঁাহাদের উচ্চপদাদি দেখিয়া লোভ