পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/২৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ২৩২ ] বর্তমানকালের হিন্দুসংসার প্রকৃত হিন্দুসংসারের সহিত তুলনা করিলে আর তুলনা করা যায় না, কিন্তু বর্ণবিভাগ সম্বন্ধে রামকৃষ্ণদেব যে প্রকার উপদেশ দিয়াছেন, আশ্ৰমধৰ্ম্ম সম্বন্ধেও সেই প্রকার ভাব ব্যক্ত করিয়া গিয়াছেন । যে বিদ্য শিক্ষা করিতে যে প্রকার অভ্যাস করিতে হয়, তাহ যে জাতিই হউক, যে বর্ণই হউক, অথবা যে কেহ হউক, তাহা শিক্ষা করিতে সকলকেই একপথ দিয়া যাইতে হইবে । বাঙ্গল ভাষা শিক্ষা করিতে হইলে বর্ণশিক্ষা বিধেয় । বর্ণমালা শিক্ষা না করিয়া কেহই ভাষা শিখিতে পারে না, সেই প্রকার আশ্রমধম্ম আচরণ না করিলে কোন জাতি জাতিত্ব রক্ষা করিয়া তত্ত্বজ্ঞান লাভ করিতে সমর্থ হইতে পারে না । দুষ্টান্ত স্বরূপ ইংরাজ জাতিই গৃহীত হউক । ইংরাজদিগের সামাজিক এবং আধ্যাত্মিক রীতিনীতি কি ? তাহার ইচ্ছানুসারে দারপরিগ্রহ করেন । এই বিবাহে পিতা মাতার আর্থিক সম্বন্ধ থাকে না । ইংরাজদিগের যদিও আমাদিগের ন্যায় বর্ণবিচার নাই, কিন্তু গুণবিচার আছে । উচ্চপদস্থ মহামাঙ্গিত ব্যক্তিরা কখন নিম্নপদস্থ অথবা সাধারণ ব্যক্তির গৃহে আদানপ্রদান কাৰ্য্য করেন না। জাতীয় নির্দিষ্ট বিদ্যোপার্জনের কাল পরিসমাপ্তি ন হইলে পুত্রকে উদ্বাহশ্ব স্থলে অt 1দ্ধ করেন না। বিদ্যা শিক্ষার্থে দেশ বিদেশে পাঠাইবার ব্যবস্থা আছে। ব্যায়াম প্রভৃতি নানাপ্রকার প্রক্রিয়ার দ্বারা শারীরিক বলাধান সাধন করেন । ইংরাজদিগের এই কয়েকটী সামাজিক নিয়ম দেখিলেই আমাদিগের আশ্রম বিভাগের তাৎপৰ্য্য কি বুঝা যায় না? আমাদের ব্রহ্মচৰ্য্যাশ্রমের ন্যায় ইংরাজদিগের বিদ্যোপার্জনের সময়, ব্রহ্মচর্য্যাশ্রমের পর সংসার, ইংরাজদিগেরও অবিকল তদ্রুপ। আমাদের ব্রাহ্মণের যে প্রকার ব্রহ্মচৰ্য্যাশ্রম হইতে