পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ داد ] হইবে । পণ্ডিত পাণ্ডিত্যের উত্তেজনায় সকল বিষয়ে কটাক্ষ করিতে উদ্যত হইয়া থাকেন, সুতরাং তাহাকে সৰ্ব্বদা বিবাদ বিসম্বাদে লিপ্ত থাকিয়া ক্লেশ পাইতে হয়। এইরূপ ক্লেশ বা অস্তদাহ উৎপত্তির কারণ বিদ্যা সুতরাং বিদ্যাকে রজো গুণ বলা যায়। পণ্ডিতদিগের অতি পাণ্ডিত্যের নানাপ্রকার জনশ্রুতি আছে । একদা কোন পণ্ডিত পক্ষীদিগকে গগনমার্গে উড্ডীয়মান দেখিয়া মনে মনে স্থির করিলেন যে, পক্ষীরা .পক্ষ দ্বারা যথেচ্ছ। উড়িয় বেড়ায়, আমরা যদ্যপি পক্ষযুক্ত হইতে পারি, তাহা হইলে কিজান্য পক্ষীর মত না উড়িতে পারিব ? এই ভাবিয়া তিনি পৃষ্ঠদেশে দুইখানি কাঠের পাখ বন্ধন পূৰ্ব্বক উড়িয়া যাইবা ন্য অতি পুলকে উচ্চস্থান হইতে লম্ফ প্রদান করিলেন । অনতিবিলম্বে তিনি ভূ-পৃষ্ঠে আকৰ্ষিত হইয়া জলাশয়ে পতিত হইলেন এবং মুখ ও নাসিক দ্বারা পেট ভরিয়া জলপান করিয়া লইলেন । আর এক সময়ে জনৈক পণ্ডিত উপবনের ভিতর দিয়! গমন করিতে fছলেন, তথায় তাহার এক কুযকের সহিত সাক্ষাৎ হয়। পণ্ডিতকে দেখিয়া সে কহিল, “মহাশয় এদিক দিয়া যাইবেন না, বাঘের ভয় আছে ।” পণ্ডিত নানাবিধ ভালিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “বাপুরে, বাঘ fক শব্দ ? বাঘ বলিয়। এমন কোন শব্দ হইতে পারে না। ব্যাঘ্র শব্দ আভিধানিক বটে ; ব্যাঘ্র শব্দের অর্থে বিশেষ প্রকার আস্ত্রাণ শক্তিবিশিষ্ট বস্তুকে বুঝায়, তাহাতে ভয় কি বাপু !” সে পথে গমন করিতে কষক পুনঃ পুনঃ নিষেধ করিল, কিন্তু পণ্ডিত মহাশয় কিছুতেই শুনিলেন ন । কৃষক বিরক্ত হইয়। পণ্ডিতকে লগুড়াঘাত করিয়া বলিল, “আমি তোমায় কখনই যাইতে দিব না, যদ্যপি এখন কথা না শোন, তাহ হইলে তোমার পা দুইটা ভাঙ্গিয়া দিব।' লগুড়াঘাতে পণ্ডিতের মল বাহির হইয়া পড়িল । এতদুষ্ট্রে তিনি ভাবিলেন যে, লগুড়াঘাতে