পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/২৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ఇరిపి ] বাড়ীতে যাইলে "এস তোমার হরি ভাল আছে” বলিয়া সম্বোধন করিত । হরিবাবুর মা হইলে কাহার বাড়ীতে যাইবামাত্র পান্ধীর নিকট হইতে আমায় আদর করিয়া লইয়া যাইত। এখন উকীলের মা, আমায় কত অনুরোধ করিয়। তবে কেহ লইয়া যাইতে পারে, জজের মা হইলে আমার সঙ্গে দুটো কথা কহিয়৷ লোকেরা শুভ দিন মনে করিবে। প্রত্যেক সংসারীর এইরূপ অবস্থা হইয়া থাকে। এই চিত্রে কি মাতার স্বার্থপরতা নাই ? ইহাকে মাতৃস্নেহ বলা যাইবে ? ইহা সস্তানের পক্ষে কি বাস্তবিক কল্যাণজনক কথা ? কখন নহে । আত্মকল্যাণ কাহাকে কহে ? আত্মার সঙ্কল্পবিবজ্জিত ভাবকে আত্মকল্যাণ কহ যায় । সঙ্কল্প বাড়িলে আত্মা বিপদগ্ৰস্ত হইয়া থাকেন, সঙ্কল্প বাড়িলে আত্মা পরমাত্মা হইতে অনেক দূরে নিপতিত হইয়৷ থাকেন। সুতরাং এ প্রকার বাহ্যিক আড়স্বরে অকল্যান হইয়া থাকে । আত্ম জ্ঞান এবং আত্ম-বিজ্ঞানই প্রকৃত কল্যাণজনক কথা । সংসারের এই স্বার্থপরতা ভাব বর্তমান কালের বিশেষ লক্ষণ । বলা হইয়াছে যে, পুরাকালে সে প্রকার ছিল না । তখন প্রেমে সংসার সংগঠন করা হইত, এক্ষণে কামের সংসার হইয়া আসিয়াছে। সুতরাং, তখনকার ভাবের সহিত এখনকার ভাবের সাদৃশ্ব দেখা যায় না । বৰ্ত্তমানকালে আমরা সকলে স্বার্থপর হইয়াছি । মাতা পিতা যেমন নিজ নিজ স্বার্থের দিকে সম্পূর্ণ দৃষ্টি করিয়া থাকেন, ভ্রাতা ভগ্নীরা যেমন নিজ নিজ স্বার্থের দিকে দৃষ্টি রাখেন, স্ত্রী পুত্রের। যেমন নিজ নিজ স্বার্থের দিকে দৃষ্টি রাখে, আমরাও তেমনি নিজ নিজ স্বার্থের প্রতি পাচ সিকা পাচ আনা দৃষ্টি রাখিয়া থাকি। সুতরাং, এক স্থানে সকল সেয়ানার সমাবেশ হইয়াছে । মাতা মনে করেন যে, তাহার কর্তৃত্বে সংসার