পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/২৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ૨8ર ] নাই। মাতার নিকট না থাকিলে, মাতার সস্নেহ বাণী না শুনিলে, মাতৃভাব কাহাকে কহে, কেমন করিয়া শিক্ষা করা যায় ? মাতৃভাব অন্যের নিকটে শিক্ষা করা যায় না। মা বলিয়া ডাকিলে তিনি যখন প্রত্যুত্তর দেন, সেই কথা কত সুন্দর, কত মিষ্ট, তাহ বলিয়া প্রকাশ করা যায় না । মাতার নিকট মাতৃভাব শিক্ষা না করিলে ব্রহ্মময়ীকে কখন মা বলিয়া ডাকিতে পারা যায় না । কেবল ডাকিলে কি হইবে ? ডাকার সহিত প্রেমের সম্বন্ধ থাক চাই । সে সম্বন্ধ জগতে কেবল মাতার সহিত আছে এবং মাত হইতে তাহা শিক্ষা করা যায়। তখনকার লোকের এই তত্ত্ব জানিতেন, সুতরাং মাতৃ ভক্তি করিতে কখন পরায়ুখ হইতেন না। র্তাহারা জানিতেন যে, মাত হইতে ভগবতীর সাক্ষাৎ পাওয়া অতি সহজ । মাতার ভাব মাতা হইতে ভগবতীতে প্রদান করিলেই কার্য্যসিদ্ধি হইবার সম্ভাবনা । সুতরাং সংসারে মাতৃভাবের কার্য্যকে সাংসারিক ভাব না বলিয়। মাতৃভাবের সাধন বলিলেও বলা যায়। এমন স্থলে কাম বা স্বার্থপরতা স্থান পাইবে কেন ? এই স্থানে কাম এবং প্রেমের অর্থবিভ্ৰাট ঘটিতে পারে। কারণ প্রেমে স্বার্থ আছে, কামেও স্বার্থ আছে ; এমন স্থলে কামকে স্বাৰ্থ বলিয়া প্রেমকে নিঃস্বাৰ্থ বলা কতদূর সঙ্গত ? প্রভু বলিয়াছেন যে, কামে নিজের স্পৃহা চরিতার্থ ব্যতীত অন্য কোন দিকে দৃষ্টি থাকে না । প্রেমে তাহা নহে। ভক্তি করিতে হয় করিতেছি—ভালবাসিতে হয় ভালবাসিতেছি । কেন হয়, বা না হয়, এরূপ কোন কারণ বাহির করিয়া দেখিবার প্রয়োজন থাকে না। পুত্র যেমন মাতৃপ্রেম শিক্ষা করিয়া আধ্যাত্মিক উন্নতি সাধন করিতেন, মাতাও পুত্র হইতে মাধ্যাত্মিক কল্যাণ লাভ করিতেন। মাতা জানিতেন যে, বাৎসল্য ভাব পুত্র ব্যতীত জন্মে না। সাংসারিক