পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/২৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ s 84 J এই স্বার্থপরতাপুর্ণ বিকৃত আশ্রমে বসিয়া আমরা হিন্দু বলিয়া পরিচয় দিয়া থাকি । এষ্ট কি হিন্দুর সংসারাশ্রম ? হিন্দুর সংসারে দয়া, হিন্দুর সংসারে সমবেদনা, হিন্দুর সংসারে পরকাতরতা, হিন্দুর সংসারে পরোপকারি তা বিধিমতে থাকিবে । হিন্দুর গৃহে লক্ষ্মী, হিন্দুর গৃহে সরস্ব তী, হিন্দুর গৃহে অন্নপূর্ণ বিরাজিত থাকিবে, হিন্দুর প্র|ণ কখন আপন সংসারে সীমাবদ্ধ থাকিবে না । হিন্দুর প্রাণ পুথিবী, আকাশ, পা তাল ব্যাপিয়া থাকিবে । সেই হিন্দু কি আমরা ? না আমরা স্বার্থপর তামন্ত্রে দীক্ষিত, তাহাতেই সাধক হইয়া সিদ্ধাবস্থা লাভ করিয়াছি ? এই নিমিত্ত বৰ্ত্তমান কালের সংসারাশ্রম পূৰ্ব্বকালের ন্যায় আধ্যাত্মিক মঙ্গলের সহায়ত না করিয়া ক্রমে অধোগামী করিয়া থাকে। এক্ষণে বুঝ। যাইবে যে, সংসারাশ্রম উত্তম কি না ? এই কথ। সৰ্ব্বদা আন্দোলনের বিষয় হইয় থাকে। ভাল এবং মন্দ কোন হিসাবে ? সংসারে থাকাই যে লোকের উদ্দেশ্য, তাহা নহে । যেমন হাবড় হইতে কাশীধামে যাইতে হইলে নানাস্থান অতিক্রম করিয়া যাইতে হয়, সেইরূপ আশ্রম গুলি জীবন-পথের ষ্টেসন বিশেষ -এ কথা যেন কাহার ভুল না হয়। যখন দেহের উৎপত্তি হইয়াছে, তখন তাহার পরিসমাপ্তি হইবে, তাহার সন্দেহ নাই । সংসারই জীবনের শেষ স্থান নহে। সংসার ষ্টেসন বিশেষ, কিঞ্চিৎ কালের জন্য পরিভ্রমণ করিতে আসিয়াছি ; যখনি টুেন ছাড়িবার সময় হইবে, তখনি ছুটয় যাইতে হইবে। এমন ক্ষণিক সম্বন্ধযুক্ত স্থানে এত স্বার্থপরতা কেন ? এই নিমিত্ত রামকৃষ্ণদেব বলিয়াছেন যে, ধনীর উদ্যানে কেহ বেড়াইতে যাইলে কৰ্ম্মচারী সকল কথায় “আমার” শব্দ প্রয়োগ করির পরিচয় দিয়া থাকে । আমাদের বাগানে যেমন আম গাছ আছে, এমন আর কোথাও নাই, আমাদের বাগানের লিচুর মত