পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/২৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ২৫৩ ] হিরন্ময়ী সীতাকে লইয়। রাজস্থয় যজ্ঞ সমাধা করিয়াছিলেন, আশ্রম : ধৰ্ম্মের পুষ্টি সাধনের জন্য শ্ৰীকৃষ্ণচন্দ্র নবনীতের জন্য যশোমতী কর্তৃক সর্বদ উৎপীড়িত হইতেন, আশ্রমধৰ্ম্মের জন্য গুরুকরণ করিয়াছিলেন, আশ্রমধৰ্ম্মের মধুরত দেখাইবার জন্য পঞ্চভাবের ক্রীড়া করেন, আশ্রমধৰ্ম্মের বলtধান করিবার নিমিত্ত শ্ৰীগৌরাঙ্গদেব অবতীর্ণ হইয়াছিলেন। তিনি প্রথমাবস্থায় ব্রহ্মচর্য্যাশ্রমী হইয়া শাস্ত্রাদি আলোচন করেন । তৎপরে গৃহাশ্রণী হইয়। উদাহ স্থলে আবদ্ধ হইয়। মাতাকে পরিত্যাগ পূর্বক তৃতীয় ও চতুর্থাশ্রমের পরিচয় দিয়া গিয়াছেন। বৰ্ত্তমানকালে বর্ণাশ্রম ধৰ্ম্মের বিরূতাবস্থা দেখিয়া ভগবান পুনৰ্ব্বার রামকৃষ্ণরূপে অবতীর্ণ হইয়। বর্ণাশ্রম ধৰ্ম্মের পুনরু থানের নিমিত্ত শিক্ষা fনয়। গিয়াছেন । বৰ্ত্তমান কালের ব্রাহ্মণের। যে সকল শাস্ত্রালোচন। করেন, তাহাকে তাহার জোর করিয়| ব্রহ্মচর্য্যাশ্রম বলিয়। ব্যক্ত করিয়৷ থাকেন। এই ভ্রম বিদূরিত করিবার জঙ্গ তাহাকে পাঠশালায় পাঠাইবার সময় তিনি বলিয়ছিলেন, “তোমরা আমায় কি বিদ্যা শিক্ষ দিলে ? যে বিদ্যায় চাল কলী উপার্জন হয়, যে বিষ্ঠায় শ্রাদ্ধের বিদায় পাইবার অধিকারী হওয়া যায়, সে বিদ্য। আমি শিখিব না ।" তিনি এই নিমিত্ত বলিতেন যে, আকাশের দিকে চাহিয়া দেখ, শুকুনি হাড়গিলার কত উচ্চে উড়িয়া বেড়ায়, কিন্তু তাহদের দুষ্ট ভাগাড়ের দিকে থাকে ! বৰ্ত্তমানকালের বিদ্যাশিক্ষার দ্বারা যদি ও মহামহোপাধ্যায় হওয়া যায় বটে, কিন্তু তাহার সম্পূর্ণ দৃষ্টি কামিনীকাঞ্চনরূপ ভাগাড়ে। যে বিদ্য কামিনীকাঞ্চনের দিকে আকৃষ্ট করিয়া রাখে, সে বিদ্য। ব্রহ্মবিদ্য নহে, সে বিদ্যায় আয়ুকল্যাণ হয় না, সুতরাং সে বিদ্যা লাভ করিবার অবস্থাকে ব্রহ্মচৰ্য্যাশ্রম কহ যায় না । তিনি বিদ্যালয়ে যাইলেন না, ব্যাকরণ, সাহিত্য, স্মৃতি, ন্যায় পাঠ করিলেন না । কিন্তু