পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/২৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ২৬e ] দুঃখিনী, অনাথিনীর তুমি ব্যতীত আর কেহ নাই। তোমায় দেখি নাই; শুনিয়াছি, যে ধৰ্ম্মপালন করে তুমি তাহাকে রক্ষা কর। আমি যদ্যপি সতীত্ব ধৰ্ম্ম রক্ষা করিয়া থাকি, ধৰ্ম্ম আসিয়া দেখা দাও । আর সহ্য করিতে পারি না।” পাষণ্ড, বৰ্ব্বর, ধনমদে গৰ্ব্বিত ধনী পুত্র দুই হস্ত বদ্ধ দেখিয়া যেমন আলিঙ্গন করিতে অগ্রসর হইল, অমনি সজোরে স্বারোন্মোচন হইয়া গেল। পশ্চাৎ ফিরিয়া দেখে যে, পাষণ্ডসঙ্গীগণ কহিতেছে, “বাৰু! কর্তা বাবু আসিয়াছেন।” কৰ্ত্তার নাম শ্রবণমাত্র যুবক উদ্যানের পশ্চাৎ দ্বার দিয়া পলায়ন করিতে বাধ্য হইল। এইরূপে ধিনি যে কোন আশ্ৰমধৰ্ম্ম প্রতিপালন করেন, সেই ধৰ্ম্মের ফলে ধৰ্ম্মই উপার্জন হইয়া থাকে। অতএব বর্ণাশ্ৰমধৰ্ম্ম পুনরুথিত হওয়া বিশেষ প্রয়োজন হইয়াছে। বলিয়াছি যে, বর্ণাশ্রম ধৰ্ম্মের উদ্দেশ্য ধৰ্ম্ম । বৰ্ত্তমানকালে তাহ বিকৃত হইয়াছে, সুতরাং, আমরা ধৰ্ম্মবিহীন হইয়। পড়িয়াছি। ধৰ্ম্ম বিহীনাবস্থায় মনুষ্য কতদিন বাচিতে পারে ? তাই বর্ণাশ্রম ধৰ্ম্ম সংস্থাপনের নিমিত্ত রামকৃষ্ণদেব অবতীর্ণ হইয়াছিলেন । যে ভাবে আমাদের সমাজ চলিতেছে, যদ্যপি বর্ণাশ্রম ধৰ্ম্মের পুনরুথান না হয়, তাহা হইলে হিন্দুজাতি বলিয়া আর কিছুই থাকিবে না। ম্লেচ্ছ হইয়া যখন অর্থের জোরে সমাজে চলা যায়, স্নেচ্ছের আহার,—ম্লেচ্ছ ভাবে বিহার করিয়া হিন্দুর আশ্রম চলিতে পারে, তখন তাহাকে কি হিন্দুর বর্ণাশ্রম কহিতে হইবে ? তাই বলিতেছি যে, আমাদের দেশের লোকের অন্ধ হইয়া আর কতদিন অপেক্ষা করিবেন, বধির হইয়া আর কতদিন নিশ্চিস্ত থাকিবেন ? শাস্ত্রের মর্য্যাদা অর্থের জন্য একেবারে উৎসরে যাইতে বসিয়াছে। তাই পণ্ডিত মহাশয়ের অর্থ পাইলেই ইচ্ছামত বিধান দিয়া কাৰ্য্য করিয়া থাকেন। রামকৃষ্ণদেব এই কুরীতি বিনাশের জন্য অবতীর্ণ হইয়াছিলেন। এই নিমিত্ত তিনি বর্ণাশ্রম