পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/২৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{ ২৬১ ] ধৰ্ম্মের পুনরুত্থানের জন্য সৰ্ব্বদা উপদেশ দিতেন। আশ্রমধৰ্ম্মের অভু্যদয় হইলে আমরা বাস্তবিক শান্তিলাভ করিব, তাহার সন্দেহ নাই । যদিও বর্ণাশ্ৰম ধৰ্ম্মের পুনরুত্থানের কথা বলা হইল বটে, কিন্তু তাহ বর্তমানকালে কিরূপে সম্ভব ? যদ্যপি কাহাকে বলা যায় যে, পুত্রের পাঠদশায় বিবাহ দিয়া অশাস্ত্রীয় কাৰ্য্য করিও না । কারণ, বিবাহের দান গ্রহণ সিদ্ধ হওয়া কৰ্ত্তব্য । নাবালক পুত্রের গ্রহণ করা সম্ভব হয় কিরূপে ? নাবালকগণ যখন আইনানুসারে বিষয় কৰ্ম্মের অধিকারী হইতে পারে না, একটা জীবনের ভার লইবার অধিকারী হইবে ? একথা শুনিবে কে ? পুত্রের পিতার প্রাণপণে তাহাতে প্রতিবন্ধক জন্মাইবে । কারণ, পুত্রের বিবাহ এখন ব্যবসাবিশেষ হইয়াছে। বৰ্ত্তমানকালে যখন অর্থই হইল ব্রহ্মস্বরূপ, তখন অর্থের স্বার্থ ত্যাগ করিতে কে পারিবে ? সুতরাং সহসা এরূপ পরিবর্তন নিতান্ত দুরের কথা। রামকৃষ্ণদেব সেই জন্য র্তাহাতে বকলুম দিতে বলিয়া গিয়াছেন। তাহাতে বকলুম দিতে পারিলে বর্ণাশ্রম ধৰ্ম্ম আপনি প্রস্ফুটিত হইবে । আমার এই কথার প্রমাণ দিবার জন্য সাধারণকে রামকৃষ্ণের সেবকদিগের দৈনিকাবস্থা পৰ্য্যবেক্ষণ করিতে অনুরোধ করিতেছি ; মুখে আর অধিক কি বলিব। কেবল বলায় কাৰ্য্য হয় না, দৃষ্টান্তই গ্রাহনীয়। এই যে রামকৃষ্ণের কয়েকটা সেবক দেখিতেছেন, ইহার বাস্তবিক বর্ণাশ্রম ধৰ্ম্মে দীক্ষিত হইতেছেন। ই হারা ঠাকুরের সেবাও করেন, বিদ্যালয়ে পাঠও করেন, পিতা মাতার প্রতি শ্রদ্ধা ভক্তিও করেন, সমাজের প্রতি সমূহ ভক্তি রাখেন, ই হারা অদ্যাপি কুমার। বাজার চলন হিসাবে ইহাদের পিতামাতার উদ্বাহ শৃঙ্খলে আবদ্ধ করিতে চেষ্টা করিতেছেন, কিন্তু ই হার রামকৃষ্ণের উপদেশ মতে সর্প ৰরিবার ধূলাপড়া এখনও শিক্ষা করেন নাই বলিয়া, সে বিষয়ে বিরত