পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/২৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ২৬৯ ] সম্বন্ধে রামকৃষ্ণদেব যে অভিপ্রায় প্রকাশ করিয়াছেন, অদ্য তাহাই বলিবার জন্য আকিঞ্চন করিয়াছি। যদ্যপি প্রভুর ইচ্ছা হইয়া থাকে, তাহা হইলে অদ্য আমায় যন্ত্রবৎ কার্য্য করাইয়া লইবেন। ঈশ্বর লাভ প্রসঙ্গটতে মনোনিবেশ করিবার পূৰ্ব্বে একটা প্রশ্ন মীমাংসা করা যুক্তিসঙ্গত। ঈশ্বরের অস্তিত্ব বিষয়ে সময়ে সময়ে অনেকেরই সন্দেহ উপস্থিত হয়। অনেকে ঈশ্বরকে একেবারেই বিশ্বাস করেন না এবং তাহার অস্তিত্ব বিষয় মীমাংসার অতীত বলিয়া অনেকে নিশ্চিন্ত হইয়া থাকেন। আমি এই নিমিত্ত ঈশ্বরের অস্তিত্বতা সম্বন্ধে দুই একটা কথা বলিয় তাহাকে লাভ করিবার উপায় বর্ণনা করিব। ঈশ্বর আছেন কিনা,—এই কথা স্থির করিবার নিমিত্ত যদিও ভূরি ভুরি শাস্ত্র আছে, সাধু সিদ্ধদিগের নানা প্রকার উপদেশ আছে, কিন্তু সে সকল বাকবিতণ্ডায় বিশেষ কোন উপকারের সম্ভাবনা নাই । রামকৃষ্ণদেব বলিতেন যে, কাৰ্য্য থাকিলে অবশ্যই তাহার কারণ থাকিবে । বিনা কারণে কোন কার্য্য হয় না। কারণের দ্বারা কাৰ্য্যবিশেষ সম্পন্ন হয় এবং কারণেই তাহার বিপরীত ফল ফলিয়া থাকে । এই নিমিত্ত তিনি সংক্ষেপে স্কুলের কারণকে স্তন্ম, স্বশ্নের কারণকে কারণ এবং কারণের কারণকে মহাকারণ কহিয়া গিয়াছেন । কার্য্যকারণ প্রণালী মতে যে কেহ ঈশ্বরের অস্তিত্ব মীমাংসা করিবার জন্য গমন করিবেন, মহাকারণ পর্য্যন্ত উপনীত হইতে পারিলে আর তাহার সন্দেহ থাকিবে না। স্থলে ঘুরিয়া বেড়াইলে, অথবা স্থল দৃষ্টান্ত লইয়া মহাকারণ সাব্যস্থ করিতে প্রাণপণে প্রয়াস পাইলে কখন সন্দেহ বিরহিত মীমাংসা হয় না, একথা বিজ্ঞানবিদ পণ্ডিতেরা জানেন এবং এ সম্বন্ধে আমি পূৰ্ব্ব বক্তৃতাদিতে অনেক কথা বলিয়াছি। এ ক্ষেত্রে আর সেই বৈজ্ঞানিক আন্দোলন করিবার প্রয়োজন নাই। সহজে