পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/২৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ २९० ] যাহাতে সকলে বুঝিতে পারেন, এমন কৌশলে, এই সৰ্ব্বোচ্চ অতি কঠিন ঈশ্বরের অস্তিত্ব বিচার বিষয়ে প্রভু বলিয়াছেন যে, পিতা মাত৷ ব্যতীত সস্তান জন্মায় না, ইহা জগতের সাধারণ নিয়ম। এই দৃষ্টান্তে পিতা মাতা সন্তান রূপ ফল বা কার্য্যের কারণ স্বরূপ। যেহেতু, পিতা মাতা না থাকিলে সস্তান জন্মায় না। পিতা মাতার স্বারা সন্তান জন্মায় বটে, কিন্তু সে কথা কি সে সস্তানের স্মরণ থাকে ? না অদ্যাপি কেহ নিজ জন্মবৃত্তান্ত বুঝিতে সক্ষম হইয়াছে ? যদ্যপি কোন জ্ঞানবান ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসা করা যায় যে, আপনার পিতা মাতা কে ? তিনি তৎক্ষণাৎ তাহার পিতাকে দেখাইতে পারেন, অথবা মা তাকে স্থিরনিশ্চয় করিয়া দিতে পারেন। কিন্তু যদ্যপি তাহাকে পুনরায় জিজ্ঞাসা করা যায় যে, ইনি আপনার পিতা, তাহার প্রমাণ কি ? নিতান্ত মুর্থ ন৷ হইলে এ প্রশ্নের উত্তর করিতে কেহ অগ্রসর হইবেন না। তিনি বলিতে বাধ্য হইবেন যে, আমার বিশ্বাস অমুক আমার পিতা, এ কথা বাল্যকাল হইতে শুনিয়া আসিতেছি । এই স্থানে বিশ্বাস ব্যতীত আর দ্বিতীয় শব্দ প্রয়োগ করিবার অধিকার নাই। কিন্তু এই বিশ্বাস অনেক স্থলে ভ্ৰমাত্মক হইতে পারে। মাত। যদ্যপি ভ্রষ্টাচারিণী হয়, তাহা হইলে হয় ত সেই সস্তান অপর ব্যক্তি কর্তৃক জন্মিয়াছে কিন্তু লোক সমাজে আর এক ব্যক্তি তাহার পিতৃপদে উল্লিখিত হইয়। যাইতেছে । এক্ষেত্রে সেই সন্তান যদিও এক জনকে চিরঅভ্যাসে পিতা বলিতেছেন, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তাহার পিতৃজ্ঞান সম্পূর্ণ ভ্ৰমাৰ্বত । সাক্ষাৎ সম্বন্ধে স্কুল পদার্থের মধ্যে যখন কার্য্যের কারণ প্রমাণ করা যারপরনাই দুঃসাধ্য, তখন ভগবানকে প্রমাণ করিতে যাওয়া নিতান্ত বালকের কার্য্য । যদিও মাতার কথায় বিশ্বাস করিয়া পিতাকে জ্ঞাত হওয়া যায় এবং