পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/২৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ২৭২ ] পিতা মাতা জানিতেন না, কিন্তু তাহারা যে পিতা মাতার স্বার জন্মিয়াছিলেন, তাহদের কারণ স্বরূপ স্বরূপ। পিতা মাত। যে ছিল, সে বিষয়ে সন্দেহ নাই । এইজন্য প্রভু বলিতেন যে, যদ্যপি ঈশ্বরের অস্তিত্ব সম্বন্ধে কাহারও সন্দেহ উপস্থিত হয়, তাহার আপনার অস্তিত্ব বিষয় স্থির করা কৰ্ত্তব্য। আমি আছি, আমার পিত। মাতা আছেন বা ছিলেন । যেমন পিত। মাতার প্রমাণ দেওয়া যায় না । ঈশ্বরের অস্তিত্ব সম্বন্ধেও সেই রূপ কোন প্রমাণ দেওয়া সাধ্যতীত কথা । কিন্তু যেরূপ পিতা মাতার স্বারা সন্তান স্বজিত হয়, সে কথায় কাহার দ্বিরুক্তি করিবার অধিকার নাই, সেইরূপ ব্ৰহ্মাণ্ডেশ্বর কর্তৃক ব্ৰহ্মাণ্ড স্বজিত হইয়াছে বলিয়া অনায়াসে বুঝিয়। লওয়া যাইতে পারে। অতএব স্বষ্টি দেখিয়া স্বষ্টিকৰ্ত্তাকে অনুমান করিয়া লওয়া কৰ্ত্তব্য । প্রভু বলিয়াছেন যে, ঈশ্বর লাভ করিতে হইলে বিশ্বাসই তাহার একমাত্র উপায়। তিনি বলিতেন, যেমন সুতার গুলি বা দড়ির তাল খুলিতে হইলে ‘খে’ ধরিয়া যাইতে হয়। ‘খে’ ছাড়িয়া সুতা ধরিয়া টানাটানি করিলে জড়িয়া যায় ; তেমনি ঈশ্বর লাভের ‘খে’ বিশ্বাস । বিশ্বাস ব্যতীত ঈশ্বর লাভ করিতে কেহ পারেন নাই এবং কেহ পরিবেনও না। ঈশ্বর লাভ করিতে হইলে তাহার অস্তিত্ব সম্বন্ধে বিশ্বাস করিতে শিক্ষা করা প্রথম কাৰ্য্য। যে সাধক যে কোন কঠোর তপস্যাই করুন, ঈশ্বর বিষয়ে স্থির বিশ্বাস না থাকিলে তাহাকে কখন লাভ করিবার সম্ভাবনা থাকে না। ■ বিশ্বাস কাহাকে কহে ? প্রত্যক্ষ বিষয়ের ধারণার নাম বিশ্বাস । যেমন আমি গাছ দেখিতেছি । গাছ ইন্দ্রিয় গ্রাহ হইলে তৎসম্বন্ধে