পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/২৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ २१8 ] £ বুঝিবার উপায় থাকিবে না। সুতরাং, সে ব্যক্তি কাৰ্য্যক্ষেত্রে ঠকিয়৷ যায়। এই জন্য সত্য বিষয় বিশ্বাস করিলে সময়ে তাহার সত্য লাভ হয়, সে বিষয়ে সন্দেহ নাই । рі ў ঈশ্বর লাভ করিতে হইলে গুরুবাক্য বিশ্বাস করিতে হইবে । গুরু প্রত্যক্ষ বিশ্বাসী হউন, বা পরোক্ষ বিশ্বাসী হউন, সে কথায় আমাদের ক্ষতি বৃদ্ধি নাই । তিনি যাহ। বলেন, সেই কথা যদ্যপি বিশ্বাস করিয়া যত্ন সহকারে হৃদয়ে সঞ্চয় করিয়! রাখি, তাহ হইলে পরমসময়ে পরমেশ্বরকে লাভ পূৰ্ব্বক পরমানন্দ লাভ করিব, সে পক্ষে সন্দেহ কি ? গুরুর কথায় বিশ্বাস করিলে বিশ্বাসের নিমিত্ত অবশ্য নিরয়কুণ্ডে যাইতে হয় না, তাহা সহজ জ্ঞানে সহজেই বুঝা যায়। গুরু ভগবানের কথা বলিয়া থাকেন, ভগবান্‌ সত্যস্বরূপ, সে বিষয়ে সকলেরই এক মত। ভগবান সত্য স্বরূপ, র্তাহাকে ডাকিলে লাভ করা যায়,— একথা সত্যপ্রিয় মহাত্মাকথিত কথা, একথা তাহাদের প্রত্যক্ষ কথা, সাধনলন্ধ পরমপুরুষের সাক্ষাৎকারের কথা, তাহাদের সম্ভোগের কথা ; সুতরাং শাস্ত্রের কথা । গুরু এই শাস্ত্রের কথা বলিয়া দেন, এই জন্য তাহা মিথ্যা নহে, তাহা বিশ্বাসের কথা, অন্ধ বা স্বকপোলকল্পিত রচনাবিশেষ নহে। যদ্যপি কোন ব্যক্তি ভূগোলের বর্ণনানুসারে লণ্ডনের বৃত্তান্ত অবগত হইয়া থাকেন, তাহা হইলে সেই বিশ্বাসকে কি অন্ধ বিশ্বাস বলা যাইবে ? কখন নহে । কারণ, ভূগোলের আদি প্রণেতা লণ্ডন না দেখিয়া কখন তাহা লিপিবদ্ধ করিতে পারেন নাই। প্রত্যক্ষ দর্শনের দ্বারা শাস্ত্র লিখিত হইয়াছে, যে কেহ সেই কথা বিশ্বাস করেন, কঁহার তদনুযায়ী ফল ফলিয়া থাকে। অবিশ্বাসীরা পৃথিবীর অদ্ভুত জীব। তাহার যখন প্রত্যক্ষ দর্শনকে মস্তিষ্কের বিকার কছেন এবং প্রত্যক্ষ অনুভবকে স্নায়বীয় বিকার কহেন, তখন তাহারা