পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/২৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ૨૧(t ] বিশ্বাস করিবেন কি ? কেন না, দেখা স্নায়বীয় কাৰ্য্য, আস্বাদন করা স্নায়বীয় কাৰ্য্য, আঘ্ৰাণ লওয়া স্নায়বীয় কাৰ্য্য, স্পর্শাকুভব করা স্নায়বীয় কাৰ্য্য, চিন্তা করাও স্নায়বীয় কাৰ্য্য। স্নায়ুগণ অবস্থাক্রমে বিপরীত কাৰ্য্য করিয়া থাকে। এই কাৰ্য্যবৈপরীত্য সংঘটন করিবার আদি কারণ সংস্কার । যাহার যে প্রকার সংস্কার জন্মায়, তাহার শরীরে সেই প্রকার কার্য্য প্রকাশ পায় । সংস্কার নানাপ্রকার । সত্য সংস্কারই হউক কিম্বা মিথ্যা সংস্কারই হউক, তাহার কার্য্যে প্রতিবন্ধক জন্মান যায় না । কেহ ভূত দেখিয়া থাকুন বা নাই থাকুন, যদ্যপি কাহার সংস্কার থাকে যে, অমুক তেঁতুল গাছে একটা পেত্নী আছে ; সে ব্যক্তি পেত্নী না দেখিয়া একটা সংস্কার প্রাপ্ত হইল। যদ্যপি কোন সময়ে অন্ধকার, রজনীতে র্তাহাকে ঐ স্থান দিয়া একাকী গমন করিতে হয়, তাহ হইলে পেত্নীর সংস্কার উদ্দীপিত হইবে, তাহার সন্দেহ নাই। তখন র্তাহার গাত্র কণ্টকিত হইবে, হৃৎপিণ্ড ঘন ঘন সঞ্চালিত হইবে, মুখ শুখাইয়া যাইবে এবং শোঁচ প্রস্রাবাদির উত্তেজন হইতে থাকিবে। এমন সময়ে যদ্যপি ঐ গাছে একটা পক্ষী পক্ষ সঞ্চালন করে, কিম্বা বায়ুতে ডাল নড়িয়া উঠে, তাহা হইলে ঐ ব্যক্তি তৎক্ষণাৎ মূচ্ছিত হইয়া পড়িবেন। মূস্থ ভঙ্গের পর পেত্নীর কত বর্ণনাই করিবেন, তাহার সন্দেহ নাই। অনেকে বলেন যে, যাহা সংস্কারবশতঃ সৰ্ব্বদা চিস্ত করা যায়, তাহার ছবি দর্শনপটে পতিত হওয়া বিচিত্র নহে । স্নায়বীয় বিকারজনিত নানাপ্রকার ব্যাধির উল্লেখ আছে। হিষ্টিরিয়া তাহার দৃষ্টান্তবিশেষ। রোগাগমনকালে অনেকে অনেক প্রকার বিভীষিক দর্শন করিয়া আতঙ্গে চীৎকার করিয়া উঠে এবং সেই কথাই উপযুপিরি বলিতে থাকে। হিষ্টিরিয়া রোগী যাহা দর্শন করে,