পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{1 و لا ] মনুষ্যের মনে সন্তোষ নাই বলিলে প্রকত কথা বলা হয়। সকল বিষয়েই বিমৰ্ষভাব, মনের সাধ কিছুতেই পূর্ণ হয় না, যতই অভিপ্রেত বস্তু প্রাপ্ত হয়, ততই তাহার অধিক প্রাপ্তির নিমিত্ত বাসনার সঞ্চার হইয়া সৰ্ব্বদা অসন্তোষের লক্ষণ প্রকাশ পাইয়া থাকে সন্তোষ আসিলেই বাসনার হ্রাস হয় । প্রতি অর্থাৎ তৃপ্তিলাভ করা । ইহা মনের পূর্ণ ভাবের লক্ষণবিশেষ। যতক্ষণ অসম্পূর্ণ থাকে, মন ততক্ষণ কখনই নিশ্চিন্ত হয় না। যখন মনের আকাঙ্ক্ষা মিটিয়া যায়, তখনই তৃপ্তি আসিয়া উপস্থিত হয় । তৃপ্তি না জন্মিলে মতুষ্যের শাস্তি আসিতে পারে না । শাস্তিই সকলের মনের একমাত্র অভিলাষ । তমোগুণের দ্বারা ভ্রম বা সন্দেহ রাশি উত্থিত করিয়া দেয়, কিন্তু ভ্রম বিদূরিত হইয়। যখন সকল বিষয়ের নিশ্চিৎ জ্ঞান উপস্থিত হয়, তখন তাহাকে সত্ত্ব গুণের কার্য্য কহ যায়। যে পৰ্য্যন্ত কাহারও নিশ্চিৎ জ্ঞান না জন্মে, সে পর্য্যস্ত তাহার মনের অবস্ত সৰ্ব্বদা পরিবর্তনশীল থাকে। পরিবর্তনশীল মনের অতি ভীষণ অবস্ত । নিশ্চিৎ জ্ঞান জন্মিলে মনের তৎসাময়িক অবস্থাকে ধৃতি কহ। যায় । ধৃতি আথে ধারণা, যখন কোন বিষয়ের তাৎপর্য্য বিশিষ্টরূপে অবগত হওয়া যায়, তখন সেই বিষয় ধারণা হইবার সম্ভাবনা । যে বস্তু মনে একবার ধারণ হইয়া যায়, তাহ। আর কখন বিস্মৃতির গর্ভে প্রবেশ করিতে পারে না । মনের এই ভাবকে স্মৃতি কহে । ঈশ্বর সাধনায় মানসিক কার্য্যেরই প্রয়োজন। মনের শক্তি যত বৰ্দ্ধিত হয়, ঐশ্বরিক বিষয় ধারণা করিতে ততই সামৰ্থলাভ করে। ভাব ধারণ করিতে না পারিলে সাধনার দ্বারা কোন ফল ফলিতে পারে না । এই জন্ত সত্ত্ব গুণাবলম্বন ব্যতীত সাধনার কার্য্য কখন সুসম্পন্ন হইবার নহে ।