পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৩০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ રા-૧ ] কুটীরে অবস্থিতি করিতেছিলাম, কিন্তু ঐশ্বৰ্য্য যাইবামাত্র আর আমি তথায় থাকিতে পারিলাম না, এই জন্য সহসা অতি ক্লেশে চলিয়া আসিতে বাধ্য হইয়াছি। ব্রাহ্মণ আমার অপরাধ কি ? অামায় তোমার প্রয়োজন হয় নাই, আমি কিরূপে তোমার হইব ? তোমার হইলেও তুমি লইতে পারিবে না। আমি তোমার হইয়াছিলাম, রুক্মিণী তোমার হইয়াছিলেন, কিন্তু আমাদের পরিত্যাগ পূৰ্ব্বক ঐশ্বৰ্য্য চাহিয়া লইলে । আমরা দিতে চাহি নাই, তুমি স্বইচ্ছায় তাহ লইয়াছ । আর কেন ? যাহার প্রয়োজন ছিল, তাহ পাইয়াছ । এক্ষণে তাহা সম্ভোগ কর, যখন প্রয়োজন মিটিয়া যাইবে, তখন অবশ্যই আমায় প্রাপ্ত হইবে। এই বলিয়া শ্ৰীকৃষ্ণচন্দ্র ব্রাহ্মণের নয়নপথ হইতে অদৃপ্ত হইয়া যাইলেন। বাস্তবিক এইরূপই আমাদের অবস্থা। আমরা স্বইচ্ছায় প্রয়োজনামুসারে কার্য্য করিতে প্রবৃত্ত হইয়া যখন তাহার বিষময় ফল প্রাপ্ত হই, তখন সে দোষ ভগবানের স্কন্ধেই নিক্ষেপ করিতে চেষ্টা করিয়া থাকি । ভগবান লাভ সম্বন্ধে যাহ। রামকৃষ্ণদেব বলিয়াছিলেন, তাহার স্বাক্ষ মৰ্ম্ম এই যে, ভগবানের প্রয়োজন এবং তৎসহ বিশ্বাস থাকিবে । প্রয়োজন এবং বিশ্বাস যাহার থাকিবে, তাহারই ভগবান লাভ হইবে । অনেকে বলেন যে, যাহারা ঈশ্বরারাধনা করেন, তাহাকে লাভ করা কি তাহাদের উদ্দেশু নহে ? একবার মনে মনে বিচার করিয়া দেখিলে আপনি ইহার মীমাংসা হইয়। যাইবে । গৃহাশ্রমের দিকে চাহিয়া দেখিলে কাহাকেও ঈশ্বর লাভ করিবার জন্য ব্যতিব্যস্ত দেখা যায় না । আছিক পূজা বা নিত্য নৈমিত্তিক ধৰ্ম্মকৰ্ম্মের উদেশ্য স্বতন্ত্র প্রকার। আহ্নিক পূজার দ্বারা পারলৌকিক এবং নিত্য নৈমিত্তিক কার্য্যের দ্বার। ইহলোকের মঙ্গল সাধন হয়। ষষ্ঠী, মাকাল, মনসা পূজাই হউক, কিম্বা দুর্গা, কালী, সরস্বতী পুজাই হউক, সাংসারিক মুখের নিমিত্ত