পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৩০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ২৯২ ] তথায় ভগবানের কার্য্য সহজ ভাবে হৃদয়ঙ্গম হইতে দেয় না । ষাহ। দর্শন করি তাহা কৃত্রিম, যাহা শ্রবণ কৰি তাহাও কৃত্রিম, যাহাদের সহিত সহবাস করি তাহারাও কৃত্রিম । লোকালয়ে আমাদের সুবিধামত মুখৈখর্ঘ্যের পুষ্ট বিধানের নিমিত্ত সকল বস্তু প্রায় সংস্থাপিত হইয়াছে, সুতরাং, অকৃত্রিম ভাব কিরূপে লাভ হইবে ? যখন লোকালয় পরিত্যাগ পূর্বক সমুদ্রের অতি বিশাল ভাব মনে ধারণা হইয়া যায়, তখন সংকীর্ণ মন অতি বিস্তীর্ণ হইয়া পড়ে, নয়ন যতদূর পারে দেখে, কিন্তু অধিক দূরে যাইতে পারে না । নয়ন পরাজিত হয় বলিয়া মন পরাজিত হয় না । মনের ধারণ শক্তি বাড়িয়া যায়, মন বুঝিতে পারে যে, নয়ন যাহা দেখাইল তাহ শেষ নহে, আরও আছে । মনের এইরূপ বিস্তীর্ণত। সংসারের কোন বস্তু দেখিয়া লাভ করা যায় না । যদিও আকাশের বিস্তীর্ণ ভাব আমাদের সমক্ষে দেদীপ্যমান আছে বটে, কিন্তু উদ্ধে দৃষ্টি নাই, উদ্ধে চাহিতে শিক্ষা করি নাই। প্রাচীর দিয়া প্রকৃতিকে সীমাবদ্ধ করিয়া তন্মধ্যে বাদস হইয়। আনন্দ করিতে শিখিয়াছি, আকাশের মহান ভাব ধারণা করিবার স্থান কোথায় ? লোকলয়ে কৃত্রিম সঙ্কীর্ণ মনে কত্রিম সঙ্কীর্ণ ভাব ব্যতীত অকৃত্রিম বিস্তীর্ণ ভাব লাভ করিবার যোগ্য তা হয় না, সুতরাং, মহান মহিমার্ণব ভগবানের বিশ্বরূপ কেমন করিা অস্তুধাবন কর। যাইবে ? লোকালয়ে সঙ্কীর্ণ গুrয়াজন, সঙ্কাণ মনের দ্বার তাহা সাধিত হইতে পারে, সে মনে অতি-প্রয়োজন বোধ হইবে কিরূপে ? অতিপ্রয়োজন ন হইলে ভগবান লাভ করিবার উপায় নাই, এই জন্য যাহাতে সেই অবস্থা লাভ হয়, সাধুরা তাহার ব্যবস্থ করিয়! থাকেন। যখন কেহ গিরিশুঙ্গের উপরে দণ্ডায়মান হষ্টঃ 2,”乙° সংসারের বিকে দৃষ্টপাত করেন, তখন তিনি বুঝিতে পারেন, তাইঃ