পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৩০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ షిసిరి ] নগরের অন্তঃপাতী কোন পঞ্জির অতি ক্ষুদ্র অংশবিশেষ মাত্র। অতি যত্নে, অতি আয়াসে মনকে অতিশয় সঙ্কুচিত করিলে তবে তাহার সংসারের ছবি একবার উপলব্ধি হইবে । গিরিশৃঙ্গে মন বিস্তীর্ণ হয়, সংসারে মন সঙ্কুচিত হইয়া থাকে । সুতরাং, মনরূপ আধার ক্ষুদ্রাকৃতি হইলে তাহাতে ভগবানের মহান ভাব স্থান পাইতে পারে না। ক্ষুদ্রাধারের ক্ষুদ্র প্রয়োজন, তাহার অতি-প্রয়োজন হইবার প্রয়োজন হয় না, তাহা হইলে ও স্থায়ী হইতে পারে না । যদ্যপি কাহারও মন বিস্তীর্ণ হয়, যদ্যপি কাহার মনে ভগবানের ভাব স্থান পাইবার স্থান পায়, যদ্যপি কাহার তাহাকে লাভ করিবার অতিপ্রয়োজন হয়, তবে সেই ভাগ্যবান ভগবানকে লাভ করিয়া পরমানন্দে দিন যাপন করিয়া যাইতে পারেন । অতি-প্রয়োজনের কার্য্য বা অনুরাগ নানা প্রকার । যাহার যে প্রকার ভাবে মন সংগঠিত হইয়াছে, তাহার সেই ভাবের পূর্ণ পরিমাণে কাৰ্য্য হইলেই যথেষ্ট হয়। এইরূপ অনুরাগ শিক্ষা দিবার নিমিত্ত শ্ৰীকৃষ্ণচন্দ্র বৃন্দাবনে লীল। বিস্তার করিয়াছিলেন । প্রেমের ব্যাপার, প্রেমহীন আমরা, ঈশ্বরের স্বরূপতত্ত্বেই বিশ্বাস নাই, তাহাকে প্রেমাকুরাগে লাভ করিয়া প্রেমময়ের সহিত প্রেমের খেলায় জীবন সার্থক করা আমাদের স্বপ্নের অতীত কথা । আমরা তাহা বিশ্বাস করি বা নাই করি, কিন্তু যে প্রেমিক প্রেমের সহিত তাহাকে আহবান করেন, প্রেমময় তাহারই হইয়া থাকেন। প্রেমের হরি, প্রেমের ভগবান, যিনি প্রেম দিতে শিখিয়াছেন, তিনি র্তাহাকে বাধিয়া রাখিতে পারেন । প্রেমময় প্রেমেই বাধা দেন। এই গুহ্যতম প্রেমের রহস্য ভেদ করাই ব্রজলীলার অভিপ্রায় । জীবগণ কেমন করিয়া তাহাকে প্রেম দিবে, প্রেমদান করিলে কি ফল হয় এবং প্রেমবিহীন হইলে কি প্রকার বিভীষিকা হয়, তাহার