পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৩০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ২৯৪ ] চড়ান্ত অভিনয় করিয়া গিয়াছেন। সংসারে শান্ত দাস্ত ভগবাদি লইয় নরনারীগণ অবস্থিতি করেন। সেই ভাব তাহাদের স্বভাবসিদ্ধ । যাহার যে ভাব প্রবল, র্তাহার সেই ভাবই উত্তম । তদ্বারা নিজ নিজ অভিলায় চরিতার্থ হইয় থাকে । ভগবান প্রেমে নন্দের পাদুক| বহন করিয়াছেন, গরু চরাইয়াছেন, যশোমতীর তাড়ন সহিয়াছেন, রাখাল বালক দিগের সহিত বালক ভাবের ক্রীড় করিয়াছেন এবং গোপিকাদিগের মধুর প্রেম-সরোবরে সন্তরণ দিয়া গিয়াছেন । জীব যেমন আপনার প্রেমেরসম্বন্ধ স্থাপন পূর্বক সংসার সংগঠন করিয়! থাকে এবং তাহ অতি অপূৰ্ব্ব, অতিশয় প্রীতিকর বলিয়া বুঝিয় থাকে, ভগবানের সহিত প্রেমের সম্বন্ধ হইলে ঐ প্রেমের যে কি অত্যাশ্চর্য্য অভূতপূৰ্ব্ব মধুরত জন্মিয় থাকে, তাহ প্রেমিকেরাই সম্ভোগ করিয়! আপনাপনি বিমুগ্ধ হইয়া থাকেন । বৃন্দাবনের প্রেমকাহিনী পয্যালোচনা করিয়া দেখিলে পঞ্চবিদ প্রেমের মধ্যে মধুর প্রেমেতে মধুরতা অধিক । শ্রীরাধাঠাকুরাণী মধুং প্রেম শিক্ষার আদর্শস্বরূপ । নন্দ, যশোদা, গোপগোপিকা প্রভৃতি নরনারীদিগের প্রেমের সহিত রাধ। ঠাকুরাণীর প্রেম তুলনা হয় ন · কারণ, শ্ৰীকৃষ্ণ এই প্রেমই সম্ভোগ করিবার জন্য অধিক যত্ন করিতেন । গোপিকাপ্রধান বৃকভানুস্থত প্রেমময়ী শ্রীরাধাঠাকুরাণী যে প্রেয়ে শ্ৰীকৃষ্ণচন্দ্রকে অস্থির করিয়া রাখিয়াছিলেন,সেই প্রেমই বাস্তবিক ভগবান লাভের চূড়ান্ত কৌশল এবং উপায় । সংসারের ভিতরে কিরূপে ভগ বানকে লাভ করা যায়,এই প্রেমে তাহারই নিদান প্রকাশ করিয়া গিয়: ছেন। গিরি গুহায় বসতি করিয়া পুর্ণ ধ্যানে পূর্ণ ব্রহ্মের প্রকাশ অসম্ভ নহে, নিবিড় বনে বৃক্ষমূলে উপবেশন পূর্বক গলিত ফলফুল ভোজনের দ্বারা একান্তমনা হইয়া নারায়ণের দর্শন লাভ করা মুদুল্লভ নহে, কিন্তু