পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৩১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( షిసి ఆ ) ব্যভিচারেরকার্য্য হয় । কারণ, জড় পতির সহিত যে সম্বন্ধ, অপর উপপতির সহিতও সেই সম্বন্ধ, সুতরাং পতির সম্বন্ধে, ব্যভিচারের ভাব প্রকাশ পায় । সাধারণ মনুষ্য শ্ৰীমতির জড় পতি ছিলেন, কিন্তু শ্ৰীকৃষ্ণ মনুষ্য নহেন, তিনি পূৰ্ণব্ৰহ্ম হরি। গহার সহিত জড় সম্বন্ধ স্থাপন করা যায় না। তাহার সহিত কুকুর শুগালের সম্বন্ধ স্থাপিত হইতে পারে না । যাহার বদনবিনিঃস্তত মুরলীর ধ্বনিতেই রমণীর কুলশীল গুরুগঞ্জন বিস্মত হইয়া সেই শব্দের পশ্চাদ্ধাবিত হইতেন, তাহারা সেই মদনমোহন ত্রিভুবনচিত্তবিনোদন রসিকশেখর রূপ দর্শন করিয়া আত্মহারা কাষ্ঠপুত্তলিকাবৎ দণ্ডায়মান থাকিতেন ; তাহার নয়নের দিকে চাহিবামাত্র চুম্বকাকৃষ্ট লৌহের ন্যায় প্রাণ তাহাতে স্থিল হইয়া যাইত। তাহার সহিত কে জড় সম্বন্ধ স্থাপন করিবে ? তাই নামকৃষ্ণদেব বলিতেন যে, গোপিক প্রধান শ্রীমতির অনুরাগ কৃষ্ণ প্রাপ্তিৰ একমাত্র উপায় ; যেহেতু তিনিই বিধিমতে রুষ্ণের সহিত সহবাসস্থখ লাভ করিয়াছিলেন। ভগবানকে লাভ করিবার নানাবিধ উপায় আছে, কিন্তু প্রেমবিহারের পূর্ণতা শ্ৰীমতির অনুরাগেই দেখা যায়। শ্রীমতি ক্লষ্ণকে লাভ করিবার নিমিত্ত কি করিতেন ? তাহার প্রাণ শ্রীকৃষ্ণেই থাকিত, তিনি প্রাণহীন হইয়া ছায়া-দেহ লইয়া থাকিতেন । তিনি থাকিয়া থাকিয়া চৈতন্তহীন হইয়া ভূমিতে পড়িয়া যাইতেন । তিনি প্রতি পলকে প্রলয় জ্ঞান করিতেন। মীনের জীবন, জীবন ব্যতীত যেমন দীর্ঘকাল জীবিত থাকিতে পারে না, যদ্যপি তাহাকে জীবিত রাখিতে হয়, তাহা হইলে মধ্যে মধ্যে জলের ছিটা দেওয়া আবশুক, কৃষ্ণপ্রেম-সরোবরস্থিত মীনরাপ। শ্রীমতির কর্ণবিবরে কৃষ্ণনামরূপ জীবনধারা ঢালিয়া না দিলে তিনি মৃতবৎ অবস্থায় থাকিয়া বাইতেন । শ্ৰীমতির এইরূপ ভাবান্তর হইলে জটিল কুটিল প্রভৃতি কৃষ্ণবিদ্বেষিণীর