পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৩১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ২৯৯ ] দিন। প্রেমমরীর কৃপায় প্রেমময় লাভ হইবে। আপনার শ্ৰীমুখে শুনিয়াছি যে, প্রেমের হরি কিরূপে জীবের সহিত প্রেমলীলা করিয়া থাকেন, তাহা বৃন্দাবনে আপনি প্রকাশ করিয়া গিয়াছেন । রাধা জৈবভাবে কৃষ্ণামুরাগিনী হইয়াছিলেন, আপনি গোলকবিহারী শ্ৰীহরি রাধা । রাধ ! বলিয়। রাধার জন্য বিপিনে, কাননে, প্রাসাদে, প্রাঙ্গনে, মাঠে, ঘাটে, গোঠে উন্মাদের ন্যায় ভ্রমণ করিয়াছেন । জীব শিক্ষা পাইল, যে ভগবানের অনুরাগী অনুরাগিনী হন, স্বয়ং ভগবানই র্তাহাদের পশ্চাৎ পশ্চাৎ ঘুরিয়৷ বেড়ান। শ্রীমতির সহিত কেমন করিয়া মিলিত হইবেন, সে ভাবনা শ্রীকৃষ্ণের ছিল । তাই তিনি মুবনকে শ্ৰীমতি সাজাইয়া শ্রীমতিকে সুবলবেশে অন্তঃপুর হইতে পরিজনের চক্ষের উপর দিয়া বাহির করিয়াছিলেন। কৃষ্ণের নিকট যাইবার জন্য শ্ৰীমতিকে ব্যবস্থা করিতে হইত না । যখন তিনি শ্ৰীকৃষ্ণকে স্মরণ করিয়৷ পূয়ার ছলে কাদিতেন, সেই ক্ৰন্দনধ্বনি শ্রীকৃষ্ণের হৃদয়ে যাইয় বাজিত। তিনি তৎক্ষণাৎ অধৈর্য্য হইয়। রাধার সহিত সম্মিলিত হইতেন । এই নিমিত্ত রামকৃষ্ণদেব বলিতেন যে, প্রেমের সহিত একবার র্কাদ, ভগবানের নামে একবিন্দু চক্ষের জল নিপতিত কর, প্রেমময় তৎক্ষণাৎ দর্শন দিবেন । শ্ৰীকৃষ্ণ বার বার বলিয়াছেন যে, রাধার প্রেমের দায়ে বাশরীতে রাধ। বলিয়া গান করিয়া বেড়াই। আমি প্রেমের দাস। যে প্রেমে আমায় ডাকে, আমি তাহার হইয়। যাই । প্রেমে কেহ আমার পিতা, কেহ আমার মাতা, প্রেমে কেই আমার সখী, কেহ আমার সখা, প্রেমে বলির দ্বারে দ্বারবান হইয়াছি। প্রেমময় জীবে রাধাপ্রেম প্রদান করিবার জষ্ঠ প্রেমঘন গৌরবরণ রূপ ধারণ পূৰ্ব্বক দেশে দেশে দ্বারে দ্বারে ঘরে ঘরে দীনহীনের ন্যায় পরিভ্রমণ করিয়া গিয়াছেন। তিনি কেঁদে কেঁদে বলিয়া