পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৩১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ د هo } প্রেমময় আসিয়া আবিভূত হন। প্রেমের অন্যান্য ভাবে ভগবানের সম্বন্ধ আছে । কিন্তু মধুরভাব সৰ্ব্বাপেক্ষী উচ্চ বলিয়। কথিত আছে। নরনারীদিগের পক্ষে রামকৃষ্ণদেব যলিয়াছেন যে, সাধকের অবস্থাবিশেষে ভাবের ব্যবস্থা হওয়া কৰ্ত্তব্য । বালক বালিকার পক্ষে শাস্ত অর্থাৎ মাত। পিত।, কিম্ব সখ্য অর্থাৎ ভ্রাত বা ভগ্নীর প্রেমই প্রশস্ত। যুবক যুবতীর পক্ষে মধুর প্রেম । যুবকেরা এই অবস্থায় প্রায় মধুর প্রম বিকৃত করিয়৷ বসেন । অনেক সম্প্রদায় আছে, যথায় মধুৰু প্রক্রিয়ার আয়ান ঘোৰ ন হইয়। শ্রীক্লঞ্চ হইয়া যান। রামকৃষ্ণদেব যদি ও এই সকল সম্প্রদায়ের চরম অবস্থ দেখাইয় নিন্দ করেন নাই, কিন্তু তিনি সাধারণকে এই ভােব অবলম্বন করিতে নিষেধ করিয়াছেন । যে যুবক আয়ান হইতে ন পারেন, তাহার পক্ষে মাতৃভাব বিধেয় । প্রৌঢ় প্রেীড়ার পক্ষে বাৎসল্য ভাবই শ্রেষ্ঠ ; বুদ্ধ বুদ্ধার আর ভাব শিক্ষার সময় নাই । ঈশ্বর লাভের দ্বিতীয় অনুরাগকে সত্ত্বমুখ চৈতন্য কহিয়াছেন। সত্ত্বমুখ চৈতন্যের ভাব এই যে, আপনাকে দীনহীন জ্ঞানপূর্বক ঈশ্বরের কৃপায় আত্মসমপণ করিয় নিশ্চিন্ত হইতে পরিলে সময়ে ভগবান লাত হইয়। থাকে । সত্ত্বমুখ ভাবাপন্ন ব্যক্তির অতিশয় সাবধানে থাকিতে চেষ্ট৷ করেন। তাহাৰ লোকালয়ে থাকিলে ঈশ্বরানুরাগী বলিয়া পরিচিত হইতে চাহেন না। যাহাতে কেহ কোনরূপে তাহার ভাব জানিতে না পারেন, এমন সতর্ক তার সহিত আত্মভাব গোপন করির রাখেন । বাহিরে সকল কাৰ্য্যই করেন, কিন্তু মন প্রাণ বিভুচরণে উৎসর্গ করিয়া রাখেন । তাহার লোক দেখাইয়া সাধন ভজন করেন না । কোন গ্রামে দুই ব্রাহ্মণসহোদর বাস করিতেন। জ্যেষ্ঠ চলিত শাস্ত্রাদিতে পণ্ডিত ছিলেন এবং তজ্জন্য সমাজে তাহার বিশেধ সন্মান ছিল ।