পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৩২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( రి) ) ) নারদকে যত্নসহকারে বসাইয়া শিষ্টাচারের দুই চারিট কথা কহিয়৷ আপন কার্য্যে নিযুক্ত হইলেন। ক্রমে দশটা বাজিল। বাবু স্নানাদি সমাপন করিয়া কৰ্ম্মস্থানে চলিয়া গেলেন । কৰ্ত্তা বাহির হইয়া যাইলে কত্রী ঠাকুরাণী পরিচারিকার দ্বারা নারদ ঠাকুরকে ভোজন করাইবার জন্য বলিয়া পাঠাইলেন । নারদ পরিচারিকার সহিত বাটীর ভিতরে গমন করিয়া ভোজন করিতে বসিলেন । ভোজন প্রায় পরিসমাপ্তি কালে রোদনের ধ্বনি উঠিল। নারদ শশব্যস্তে পত্রিত্যাগপূৰ্ব্বক গৃহের বাহিরে আসিয়া দেখিলেন যে, একটী দ্বাদশ বৎসরের বালক মৃত্যুশয্যায় শয়ন করিয়াছে এবং আর একটী পঞ্চম বৎসরের বালক মৃত্যুমুখে পতিতপ্রায় হইয়াছে। বালকের মৃত্যুযন্ত্রণ দর্শন করিয়া নারদের হৃদয়ও বেদনাপ্রাপ্ত হইল। ইতিমধ্যে বাবু আসিয়া উপস্থিত হইলেন । তথায় নারদকে দেখিয়া বিনীতভাবে জিজ্ঞাসা করিলেন, মহাশয়ের ভোজনাদির কোন ব্যাঘাত হয় নাই ত ? নারদ কহিলেন, সে বিষয়ে কোন ক্রটি হয় নাই, কিন্তু তোমায় জিজ্ঞাসা করি, এই বালক দুইটা কাহার ? বাবু কহিলেন, মহাশয় আমি কিরূপে বলিব ? লৌকিক হিসাবে আমার বলিয়া পরিচিত। নারদ আশ্চৰ্য্য হইয়া বলিলেন, তোমার পুত্র ? আহা ! অতিশয় দুঃখের বিষয়। আমি অদ্য তোমাদের বাটিতে আসিয়া ভাল করি নাই। তোমার আর পুস্ৰাদি আছে ? বাবু কহিল, আজ্ঞ না। নারদ বিস্ময়াপন্ন হইয়া কহিতে লাগিলেন, বাপু ! তোমার দুরদৃষ্টের অবধি নাই। দুইটী রন্ধ এককালে হারাইলে ? এই সময়ে যদ্যপি ঈশ্বরকৃপায় কোন সাধু মহাত্মা আসিয়া আশীৰ্ব্বাদ করেন, তাহা হইলে হয়ত সস্তানদিগের কল্যাণ হইতে পারে। বাবু এই কথা শ্রবণপূর্বক বিরক্তভাবে কহিলেন, মহাশয় । আপনি বৃদ্ধ হইয়া এমন অন্যায় কথা কিরূপে বলিতে সাহস