পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৩২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ৩১২ ] করিলেন ? ঠাকুরের ইচ্ছায় সকলই হইতেছে। তিনি সকলের কৰ্ত্ত । র্তাহার ইচ্ছার বিরুদ্ধে আমি কাৰ্য্য করিতে চেষ্টা করিব ! তিনি সস্তান দিয়াছিলেন, তিনি দিনকয়েক রাখিয়াছিলেন, আবার তিনি গ্রহণ করিলেন । আমি গোলাম, তাহার কার্য্যে আমার কি অভিপ্রায় প্রদান করা সাজে ? দ্বিতীয় বালকটীর মৃত্যু হইল । বালকদ্বয়ের জননীর হৃদয়ভেদী বিপদপূর্ণ রোদনে নারদ অস্থির হইয়া পড়িলেন, এমন কি তাহারও নয়নে বারিধারা পড়িতে লাগিল । বাবু বস্ত্রাদি ত্যাগ করিয়া হস্তপদ প্রক্ষালনপূৰ্ব্বক মৃত সন্তানদিগের অন্ত্যেষ্টি ক্রিয়ার নিমিত্ত ব্যবস্থা করিয়া স্ত্রীকে রোদন সম্বরণ করিতে অনুরোধ করিলেন। সাধবী স্বামীর কথায় নিস্তব্ধ হইয়। কহিলেন, প্রাণে প্রাণে সকলই বুঝিতেছি, কি জানি মনকে কোন মতে বুঝাইতে পারি নাই। ঠাকুর কি ইহাতে রাগ করিবেন ? স্বামী কহিলেন, আমরা দুৰ্ব্বল গৃহী, আমাদের পদে পদে অপরাধ হইয়। যায়, প্রভু দয়াল ঠাকুর, কবে তাহার নিকটে সাধু ছিলাম যে, অদ্য ভয় করিতেছ? আমরা তাহার সংসারে দাস দাসী। ইত্যবসরে নারদ অদৃপ্ত হইয়া পড়িলেন এবং অনতিবিলম্বে নারায়ণের সন্নিধানে উপনীত হইয়া আনুপূৰ্ব্বিক সমুদয় ঘটনা নিবেদন পূৰ্ব্বক কহিলেন, প্ৰভু ! আপনার কার্য্য আপনিই বুঝিতে পারেন। অন্যকে তাহা বুঝিতে দেওয়া আপনার উচিত নহে । আপনার ভক্ত অ ভক্ত আপনিই জানেন, অন্তে তাহা জ্ঞাত হইবে কিরূপে ? নারায়ণ কহিলেন, এ প্রকার কথার হেতু কি ? তোমার চক্ষে সে ভক্ত বলিয়া জ্ঞান হইল না ? নারদ কহিলেন, ঐরূপ ব্যক্তিকে যদ্যপি ভক্ত কহ যায়, তাহা হইলে অভক্ত বলিবার নুতন লক্ষণ প্রকাশ করা উচিত। লোকটা ঘোর বিষয়ী। কামিনীকাঞ্চনের পূর্ণ দাস। প্রভু ! বলিব কি, দুইটী পুত্র মৃত্যুমুখে