পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৩৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

3 بنادo ] কাঞ্চনের কোন প্রয়োজন নাই। জলে ফেলিয়। দিলে যেরূপ কাঞ্চনের ব্যবহার হইবার সম্ভাবনা, আমাদের প্রদান করিলেও তদ্রুপ ফল ফলিবে । অতএব ইহার ব্যবহার করিবার পাত্ৰ দেখিয়া দান করিও । এই বলিয়া সাধুর অগ্রসর হইতে লাগিলেন। বারাঙ্গন দ্বারদেশে ভূমিতে নিপতিত হইয়া কহিতে লাগিল, প্রভু! আপনাদের যাইতে দিব না। যে কাঞ্চন গুলি দিয়াছি, তাহা আমি আর কিরূপে ফিরিয়া লইব ? উহার একটা ব্যবস্থা করিয়া যান। সাধুরা পরস্পর কহিতে লাগিলেন যে, কামিনীকাঞ্চনের বিপদ দেখ। কোথায় শীতল হইল বলিয়া বৃক্ষচ্ছায়ায় উপবেশন করিতে আসিলাম, শীতল হওয়া দুরে যাক, এখন অস্থির হইয়া পড়িয়াছি। আর একজন কহিলেন, প্রভু ! আর কেন, আমরা কামিনীকাঞ্চনের বিলক্ষণ জ্ঞান লাভ করিলাম। একদিন এই কথা লইয়া বিচার হয়, প্রভু আমাদের সেই ভ্রম চুর্ণ করিবার নিমিত্ত কৌশল করিয়া বারাঙ্গনার উদ্যানে আনিয়া এই সঙ্কটে ফেলিয়া দিয়াছেন। কামিনীকাঞ্চন কি বস্তু, প্ৰভু ! আমরা বুঝিয়াছি, এখন আমাদের পরিত্রাণ করুন । গুরু সহাস্তে কহিলেন, তোমরা সাবধান ! অতি সাবধানে কামিনীকাঞ্চনের দূরে থাকিতে চেষ্টা করিবে। অতঃপর বারাঙ্গনাকে কহিলেন, মা ! এক কাজ কর, রঙ্গনাথজীকে এই স্বর্ণ মুদ্রাগুলি দিয়া আইস, র্তাহার সেবা হইবে । সাধুগণ প্রস্থান করিলে পর,বারাঙ্গন পুলকিতান্ত:করণে সাধুপদরঙ্গে বিলুষ্ঠিত হইয়া সেই দিবসেই রঙ্গনাথজীউ দর্শনার্থে যাত্রা করিল। তথায় পৌঁছিয়া শ্ৰীমূৰ্ত্তি দর্শনাস্তে এক সহস্র স্বর্ণমুদ্র প্রতিমার সম্মুখে ঢালিয়া দিল। পূজারিগণ বারাঙ্গনার বৃত্তান্ত জানিতে পারিয়া মহা ন্তের নিকটে সম্বাদ পাঠাইলেন। মহাস্ত বারাঙ্গনাপ্রদত্ত স্বর্ণ মুদ্র গ্রহণ করিতে অসন্মত হুইয়া কহিলেন যে, সে যদ্যপি সহজে ফিরিয়া