পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৩৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ తిప్నిe ) দাসীর প্রতি কি মহান্ত ঠাকুর প্রসন্ন হইয়াছেন ? পূজারিয়া কছিলেন, না বাছা! তোমার অলঙ্কার ঠাকুরের ব্যবহারের উপযুক্ত নহে। তুমি অন্য কোন দেবালয়ে যাও, তাহারা পরম পুলকে গ্রহণ করিবে । বারাঙ্গন স্থির চিত্তে আদ্যোপান্ত শ্রবণ করিয়া রঙ্গনাথজীকে সম্বোধন পূৰ্ব্বক কহিতে লাগিল, প্রভু ! তোমার মনে কি এই ছিল ? আমি জানিতাম ঠাকুর, যে বীরাঙ্গনার ন্যায় অপবিত্র, ঘৃণিত, পৃথিবীর হেয় জীব জীবশ্রেণীতে আর নাই। আমি জানি যে, বারাঙ্গনাদিগের কোন কার্য্যে অধিকার নাই । আমি জানি যে, বারাঙ্গনার অপঘাতে মরিয়া থাকে, আমি জানি যে, বারাঙ্গনাদিগের পৃথিবীতে আপনার বলিবার কেহ নাই। আমি জানি যে, আমাদের জন্য যমপুরিতে স্বতন্ত্র মহানরক আছে, কিন্তু প্ৰভু ! সত্য করিয়া বল দেখি, আমি কি কখন তোমার নিকটে আসিতে চাহিয়াছিলাম ? তোমার নাম পৰ্য্যন্ত কখন শুনি নাই। আমি কি কখন তোমার ভক্ত সাধুদিগকে নিমন্ত্রণ করিয়াছিলাম ? আমি কি কখন তাহাদের সেবা করিতে ইচ্ছা করিয়াছিলাম ? আমি কি কখন সাধুকে সন্তুষ্ট করিয়া স্বর্গে যাইব বলিয়া মনে মনে বৃথা চিন্তা করিয়াছিলাম ? অন্তৰ্য্যামী তুমি সত্য করিয়া বল। বক্ষে কে ছুরি মারিবে, কে বিষ খাওয়াইবে, তাহাই ভাবিয়াছি ; কোন ধনীর মাথা খাইব, কাহাকে পথের ভিখারী করিব, এই চিন্তাই করিতাম। বল দেখি, সাধুর বারাঙ্গনার বাড়ীতে কি জন্য প্রবেশ করিয়াছিল ? আমি তাহদের না দেখিলে কখনই স্বর্ণ মুদ্র দিতে যাইতাম না। ভাল তাহারা না লইল, পুষ্করিণীতে ফেলিয়া দিল না কেন ? তাহারা তোমায় দিতে বলিয়াছিল বলিয়া আমি আসিয়াছিলাম। আমি তোমার ভক্ত নহি, আমি তোমার অনুরাগিনী নহি, আমি তোমায় চাহি নাই। সাধুরা যদ্যপি অন্ত ঠাকুরের নাম