পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৩৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ৩২১ ] করিত, তাহা হইলে তোমার নিকটে কখন আসিতাম না। তুষি আমায় বলিয়া দাও, কোথায় তোমার সেই সাধুরা ? হয় তাহাদের ঠিকানা বলিয়া দাও, না হয় এই অলঙ্কার নাও। ভাল, আমায় পূৱে বলিলেই হইত, তাহা হইলে আমি অলঙ্কার প্রস্তুত করিয়া অনিতাম ন। আমি অলঙ্কার লইয়। কোথায় যাইব ? অার কাহাকে দিব ? বল ঠাকুর বল, আমি যে তোমার চরণ দেখিয় গিয়া পায়ের মাপে নুপুর গড়াইয়াছি, এ নুপুর আমি কার পায়ে দিব ? প্রভু ! তুমি কি জান না যে, তোমার বাহুর মাপে বলয়াদি প্রস্তুত করিয়াছি ? প্ৰভু ! অনেক ক্লেশে গজমতিটা সংগ্ৰহ করিয়াছি । ঠাকুর । এ চুড়া লইয়। আমি কাহার মাথায় দিব ? প্ৰভু ! চুড়ার কথা আমার স্মরণ হয় নাই, তুমি স্বপনে আমায় চুড়ার কথা বলিয়াছিলে । রঙ্গনাথ আর রঙ্গ করে। না। আমার প্রাণ যায়, বড় সাধে এসেছি, প্রভু ! সাধে বিষাদ সংঘটনা করিও না । একজন পূজারি রোষান্বিত হইয়। কহিলেন, দেখ, মাগি ! তোদের ছলনা অপার । তোর সাক্ষাৎ ডাকিনী রাক্ষসী, মায়ার ঘনীভূত মূৰ্ত্তিবিশেষ । তোকে সহজ কথায় বলিলাম, তাহা গ্ৰাহ হইল না । যদ্যপি এখনও অলঙ্কার লইয়া প্রস্থান না করিস, তাহা হইলে অপমান হইয়। যাইতে হইবে । এ দেবালয়, কথাটা যেন মরণ থাকে। সাধু সাধ্বীদিগের আবাসের স্থান । বারাঙ্গন উচ্চৈঃস্বরে রঙ্গনাথজীকে কহিল, ঠাকুর । চিরকাল শুনিমু। আসিতেছি যে, তুমি পতিতপাবন । কিন্তু এ অতি অদ্ভুত কথা, নূতন কথা যে, তোমার সে নাম আর নাই। বল ঠাকুর বল, তুমি কত দিন পবিত্রপাবন হইয়াছ ? ঠাকুর । পবিত্র ব্যক্তিরা আপনাদিগের সাধন ভজনের জোরে পরিত্রাণ পায় জনিতাম, পতিত পতিত আশ্রয়বিহীন বিহীনা, অনাথ অনাথিনীগণ ভবতরঙ্গের রঙ্গ দেখিয়া নিরাপদে পার ミ>