পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৩৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ר { ૭ર.ર _i হইবায় জন্য ভবকর্ণধারের শরণাপন্ন হইলে তিনি পার করিয়া দিতেন । কত অসংখ্যক নরনারী এইরূপে চলিয়া গিয়াছে, কিন্তু তুমি আজ আমার ভাগ্যে সে নাম পরিবর্তন করিয়াছ ! স্বীকার করি, প্রভু ! যে আমি ঘৃণিত বেশ্য । আমি অতি অপবিত্র, কিন্তু নাথ ! তুমি যে দয়াময় ঈশ্বর । তুমি যে অদ্বিতীয় স্বষ্টিকর্তা, পরিপালক এবং জগৎপাত । প্ৰভু ! স্বৰ্য্য চন্দ্র কি আমায় পরিত্যাগ করিয়াছে ? বায়ু হুতাশন কি আমায় পরিত্যাগ করিয়াছে ? তাই বুঝিয়াছিলাম যে, তুমিও আমায় পরিত্যাগ কর নাই । আমি কোথায় যাইব ? কে আশ্রয় দিবে ? অনাথিনী বলিয়া আর কাহার প্রাণ র্কাদিবে ? কে পতিতাকে উদ্ধার করিতে পারিবে ? দয়াময় ! দয়া কর । দাসীর প্রতি একবার কৃপাকটাক্ষ কর। প্ৰভু ! বড় আশায় এসেছি। অামায় নৈরাশ কোরে। না। আমার প্রাণ যায়। কোথায় প্রাণনাথ রঙ্গনাথজী ! কোথায় প্ৰাণেশ্বর রঙ্গনাথজী ! কোথায় জীবনসখা রঙ্গনাথজী ! আমি বড় সাধে তোমার জন্য অলঙ্কার আনিয়াছি, যদ্যপি তুমি গ্রহণ না কর, আমি অনশন ব্রত লইলাম, তোমার সম্মুখে জীবনান্ত করিয়া তোমার দয়াময় নামের গৌরব বৃদ্ধি করিব । রহিলাম বসিয়া, দেখি আমার প্রাণবল্লভের সন্মুখ হইতে কে তাড়াইয়া দিতে পারে । প্ৰভু ! যাবনা ! যাবনা ! যাবনা ! হয় শরীর পতন করিব, না হয় প্রভু তোমায় অলঙ্কার পরিতে দেখিব । ঠাকুর । মকুয্য জন্মিলেই মরিয়া যায়, এ কথা নুতন নহে। হয় ব্যাধি, না হয় অপঘাত, যে কোনরূপে হউক জীবন গিয়া থাকে। কিন্তু অস্ত জীবনান্ত হইবার যে নুতন ব্যবস্থা করিলে, ইহা স্মরণ করিলেও আনন্দ হয় । বোধ হয় অদ্যাপি এমন মৃত্যু কাহার হয় নাই। পূজারির বারাঙ্গনাকে তাড়াইয়া দিবার জন্য সাধ্যমত চেষ্টা করিল, কিন্তু কিছুতেই কৃতকাৰ্য্য হইল না। দীনবল্লভ ভগবান, রঙ্গনাথজী আর