পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ミ・ ] উদেশু সাধন হইবার আর কখন প্রতিবন্ধক জন্মিতে পারে না ; কিন্তু কারণের ভাবান্তর হইলে কার্য্যের রূপান্তর ঘটবার সম্পূর্ণ সম্ভাবনা । রামকৃষ্ণদেব এইজন্য বলিতেন যে, চার গাছ পুতিলে ছাগল গরুর অত্যাচার হইতে রক্ষা করিবার জন্য উহাকে বেড়া দিয়া রাখিতে হয় । সে সময়ে যদ্যপি ছাগল গরুতে পাত কিম্ব তরুণ শাখাগুলি খাইয়া ফেলে, তাহা হইলে গাছটা বাড়িতে পারে না । যদ্যপি গাছটকে কিয়দিন ছাগল গরু হইতে রক্ষ করা যায়, তাহ হইলে উহ। বৃক্ষে পরিণত হইতে পারে। সেই সময়ে আর বেড়ার প্রয়োজন থাকে না, তখন আর ছাগল গরুর ভয়ও থাকে না, এমন কি সেই বুক্ষে হাতীকেও লাধিয়া রাখা যাইতে পারে ; সেইরূপ মনের উদ্দেঙ্গ সাধন করিতে হইলে যাহার দ্বার। তাত নষ্ট হুইবার সম্ভাবন, তাহ হইতে অতি সাবধানে থাকিতে হইবে । ঈশ্বর সাধনায় শারীরিক সুখ দুঃখের দিকে দৃষ্ট রাখিলে ঐশ্বরিক ভাব বা উদ্দেশ্র বিচ্ছিন্ন হইয়া যায়, সুতরাং যে কার্য্যের বিপরীত ফল ফলিয়া থাকে। অতএব ঈশ্বর সাধনায় প্রবৃত্ত হইতে হইলে উদ্দেশু স্থির করিয়। তবে সাধনার নিমিত্ত সত্ত্ব গুণ প্রয় কর। সকলের বিধেয় । সত্ত্বগুণ অবলম্বন করিয়৷ সৰ্ব্বপ্রথমে তাহারই সাধন করিতে হয় । যেহেতু, সকলেই তমো এবং রক্তো গুণের দ্বার স্তজিত এবং সংসারে তাহারই ভাবে শরীর এবং মন সংগঠিত হইয়। গিয়াছে। যেমন, পাত্রবিশেষে পদার্থবিশেষ রাখিতে হইলে পূৰ্ব্বরক্ষিত পদার্থকে ফেলিয়৷ দিতে হয়, সেইরূপ মনের পূৰ্ব্ব সংস্কাররূপ তমো এবং রজঃ মিশ্রিত ভাবাদি পরিত্যাগ পূৰ্ব্বক সান্ত্রিক ভাব সংস্থাপন করিতে হয়। সাত্ত্বিক ভাব উপার্জন করা সাধনের প্রথম সোপান ; এই অবস্থায় সাধনযুক্ত ব্যক্তিকে প্রবর্তসাধক কহে ।