পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৩৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ৩২৬ ] দিগের লীলার সময়ে লীলারূপ দর্শন করা । লীলান্তে সেই রূপ দর্শন করিলে তাহাকে নিত্যরূপ কহে । আমরা লীলারূপে ঈশ্বরের সহিত সহবাসমুখ সম্ভোগ করিতে পারি—কিন্তু নিত্যরূপের সহিত সেরূপ হয় না। রামকৃষ্ণদেব বলিয়াছেন ষে, জীব নিত্যরূপের নিকট ২১ দিনের অধিক বাচিতে পারে না । এই নিমিত্ত ভক্তদিগের সহিত প্রেমবিহার করিবার জন্য আপনি লীলারূপে অবতীর্ণ হইয়া থাকেন ! ঈশ্বরপ্রেমণকাজক্ষীরা সেই রূপে আত্মাভিলাষ পূর্ণ করিয়া লয়েন। ঈশ্বরলাভের যে কয়েকটা চলিত মত আছে, তাহা কথিত হইল । রামকৃষ্ণদেব বকলমার ভাব নূতন প্রকাশিত করিয়াছেন। রামকৃষ্ণে বকল্ম দিলে সহজে ঈশ্বরলাভ হইয়া থাকে। বকল্ম সম্বন্ধে আমি অনেক বার অনেক কথা বলিয়াছি, কিন্তু অনেকে অদ্যাপি তাহার ভাব উপলব্ধি করিতে পারেন নাই। বকল্মায় নিজের কোন প্রকার সাধনের ভাব একেবারে থাকিবে না । ঈশ্বরলাভের যে সকল প্রণালী উল্লিখিত হইয়াছে, তাহাতে কিছু না কিছু কাৰ্য্যের সংস্রব আছে। কাৰ্য্যের ভাব আসিলে বকল্ম বলা যাইতে পারে না। বকল্মার ভাব সম্বন্ধে প্রভু একটী সাধারণ উপদেশ দিয়া গিয়াছেন । তিনি বলিতেন যে, সাধক দুই প্রকার হয়, বাদরের ছানার ভাব এবং বিড়ালছানার ভাব । বাদর ছানার ভাবে অহং মিশ্রিত আছে। যদিও বাদরীর শাবককে ক্রোড়ে লইয়া স্থানান্তরে যায় বটে কিন্তু শাবকেরা আপনার আসিয়া জড়াইয়া ধরে । বিড়াল ছানার সে প্রকার স্বভাব নহে । সে কেবল ম্যাও ম্যাও করিয়া ডাকে। তাহার মা ঘাড় ধরিয়া যেখানে ইচ্ছা লইয়া যায়, যথায় ইচ্ছা রাখিয়া আইসে, ছানার কিছুতেই আপত্তি থাকে না । গৃহস্থের গদির