পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৩৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ రిలిe l কখন তাহার প্রভেদ হয় না । সেই প্রকার ধৰ্ম্ম বলিলে একই বুঝিতে হইবে। ধৰ্ম্মের যে ভাবান্তর দেখা যায়, তাহ মনুষ্যদিগকে দেখিলেই বুঝা যাইবে । বস্তুগত এক হইয়া সকলেই পৃথক্ । সহোদরের সকলেই পৃথক। দুই জনকে প্রায় ভ্রম হয় না। যেমন নরনারীগণ মূলে এক হইয়া স্থলে বিভিন্ন, সেইরূপ মূলে এক ধৰ্ম্ম থাকিয় স্থূলকাৰ্য্যে ব্যক্তিগত পার্থক্যভাবের দ্বারা তাহারও পার্থক্য ভাব দেখাইবে । রামকৃষ্ণদেব তদনন্তর জলের দৃষ্টান্ত দিয়া বলেন যে, আকাশের জল সৰ্ব্বত্রে প্রায় বিশুদ্ধ । কিন্তু সেই জল পৃথিবীতে সমাগত হইয়। স্থানিক কারণবিশেষে নানাবিধ নাম প্রাপ্ত হইয় থাকে। কোথাও কূপ,কোথাও খাত,কোথাও পুষ্করিণী, কোথাও গঙ্গা, কোথাও নর্দমা এবং কোথাও সমুদ্র ইত্যাদি। যাহার জলের নিদান জ্ঞান জন্মায়, সে স্থলের এবং মূলের ভাবের একীকরণ করিতে পারে। কূপ, খাত, পুষ্করিণী প্রভৃতির ন্যায় ধৰ্ম্মরাজ্যের পার্থক্যতা বুঝিতে হইবে এবং মূলে এক জ্ঞানও থাকিবে। যেমন তিনি বলিয়াছেন যে, শিয়ালদহে গ্যাসের মসলার ঘর। উহা এক অদ্বিতীয়। কিন্তু সহরে কোথাও ঝাড়ে, কোথাও লণ্ঠনে, কোথাও পরীতে, কোথাও আলোকবিহীন শিখায় জ্বলিতেছে। স্থল আবরণ বা দীপের শিখার তারতম্য দেখিলে ভাব বৈচিত্র্যের বিলক্ষণ পরিচয় প্রাপ্ত হওয়া যায় । কিন্তু যে গ্যাসের নিদান জানে, সে দিব্যচক্ষে দেখিতে পায় যে, এক গ্যাস সহরের সর্বত্রে জ্বলিতেছে । এইরূপ নানাবিধ উপদেশ দ্বার ধৰ্ম্মের নিদান বুঝাইয়া দিয়া তিনি হৃদয় অধিকার করিয়া লন । যতই তাহার শ্ৰীমূৰ্ত্তি দেখিলাম, যতই অমিয়বিনিন্দিত উপদেশসুধা পান করিলাম, ততই তাহাকে চিনিতে পারিলাম। চৈতন্তচরিতামৃত গ্রন্থ পাঠ করিয়া চৈতন্যদেবের যে সমস্ত লক্ষণ ধারণা ছিল, রামকৃষ্ণদেবে তাহাই দেখিতে লাগিলাম। আমি এই সময়ে বিষম