পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{ ২১ ] গুণত্রয়ের ধৰ্ম্ম বিচার কালে কথিত হইয়াছে যে, তমো এবং প্লজে গুণ দৈহিক ও মানসিক শক্তির হ্রাস তা জন্মাইবার কারণবিশেষ । তমোগুণে প্রক ত বস্তুকে বিপরীত বুঝায় এবং রজঃ অযথা অশেষবিধ ক্লশোৎপাদনের নিদানস্বরূপ হইয়া নিতান্ত অকৰ্ম্মণ্য করিয়া ফেলে । অবিশ্বাসী করা তমোর কার্য্য। যে অবিশ্বাসী, সে সৰ্ব্বদা অন্ধকারে লjস করে, দেখিলে কি ? বুঝিবে কি ? তাহার পক্ষে ভাল মন্দ বিচার চলে না । জন্মান্ধের কি কখন বর্ণ জ্ঞান হয়, না তাহার কখন সৌন্দর্ঘ্যের ভেদাভেদ বোধ হইবার সম্ভাবনা ? রজোর দ্বার। শরীর ও মন দিন দিন দুৰ্ব্বল হইয় পড়ে, সুতরাং মনের ধারণ এবং ইন্দ্রিয়াদির কার্য্যকরী শক্তি না থাকায়, রজোগুণবিশিষ্ট ব্যক্তির ঐশ্বরিক সাধন কাৰ্য্য করিতে নিত্যস্ত অসমর্থ। এই নিমিত্ত পুরাকালে জীবনের প্রথমাবস্থায় ব্রহ্মচৰ্য্যাশ্রমা হইবার ব্যবস্থা ছিল । ব্রহ্মচর্য্যের উদ্দেশু ব্রহ্মবিদ্য উপাৰ্জ্জন করা । এই অবস্থায় সমুদয় কাৰ্য্য সত্ত্বগুণে পরিপূর্ণ ছিল, রজো তমের লেশ মাত্র স্পর্শ করিতে পারিত না । তমোরাশির বনাশের একমাত্র উপায় জ্ঞানালোক। ঐ গুরুর পাদপদ্মরূপ জ্ঞানস্থৰ্য্য জ্ঞানোদয়ের প্রারম্ভে উদিত হইয়া মানসাকাশে বিরাজ করিতেন,সুতরাং ৩পায় আর অন্ধকার কখন স্থান পাইত না । জ্ঞানোপার্জনের সময় কামিনীকাঞ্চনের সংশ্রবরূপ রজোগুণ একেবারে প্রবেশ পাইত ন}, সুতরাং সে সময়ে শরীর এবং মনের অযথা কার্য্য হইয়া দুঃখসাগরে নিমগ্ন হইবার কোন আশঙ্ক ছিল না। কামিনীর দ্বারা মন দুৰ্ব্বল হয়, একথা বার বার বলা হইয়াছে এবং সেকথা কামিনীসংযুক্ত ব্যক্তি মাত্রেই বিলক্ষণ জানেন । কামিনী কর্তৃক অধোরেত হইতে হয়, অধোরেত বা বীৰ্য্যহীন হইলে ক্রমে মস্তিষ্ক এবং সর্বশরীর হীনবীৰ্য্য হ ইয়া আইসে। যদ্যপি মস্তিষ্ক দুৰ্ব্বল হয়, তাহা হইলে মনের বল ও