পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৩৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ రిలి( ) ছিলেন । এইরূপে গোকল ব্রত হইতে পৃথিবীর চলিত প্রায় সকল মতেই সাধক হইয়া এক চূড়ান্ত সত্য বাহির করিয়া দিয়াছেন । এই সত্য লাভ করিবার যাহার প্রয়োজন হইবে, র্তাহাকেই রামকৃষ্ণকে আচাৰ্য্য বলিয়া অবনতমস্তকে তাহার চরণধুলি লইতে হইবে। যখন সকলে রামকৃষ্ণদেবের এই নবভাব বুঝিতে পারিবেন, তখন ধৰ্ম্মের বিবাদ মিটবে। কিন্তু ধৰ্ম্মের বিবাদ স্থগিত হওয়া প্রয়োজন হইয়াছে । যে পর্য্যন্ত ধৰ্ম্মের উত্তমাধম জ্ঞান না যাইবে, সে পৰ্য্যস্ত কল্যাণ হইবে না। এই নিমিত্ত রামকৃষ্ণ নাম যাহাতে সকলে অবলম্বন পূর্বক আত্মকল্যাণ সাধন করিয়া লয়েন, ইহাই আমাদের একান্ত উদ্দেশু। রামকৃষ্ণের ভাব প্রস্ফুটিত হইতে যে কতকাল লাগিবে, তাহা তিনিই বলিতে পারেন । যখন সকল ধৰ্ম্মসম্প্রদায় নিজ নিজ উন্নতি সাধন করিয়া শান্তিলাভ করিবেন, তখনই রামকৃষ্ণের ধৰ্ম্মের পূর্ণতা কহ। যাইবে । এ কথা কেহ একদিনও না ভাবেন যে, তিনি সকল ধৰ্ম্ম একাকার করিয়াছেন বা তাহাকে উপাসনা করিতে বলিয়াছেন । যে যে চলিত ধৰ্ম্ম আছে অথবা যিনি যে ধৰ্ম্মে আছেন, তিনি সেই ধৰ্ম্মে যাহাতে স্থির হইয়া থাকেন, ইহাই রামকৃষ্ণের ধৰ্ম্ম । তাহার ধৰ্ম্মকে অপরে নিন্দ করিলে তিনি রামকৃষ্ণদেবের দোহাই দিয়া শক্রর গৰ্ব্ব খৰ্ব্ব করিতে পরিবেন বলিয়। রামকৃষ্ণের সহায়তা আবণ্ড্যক । রামকষ্ণের সহিত সাধারণের এই সম্বন্ধ মাত্র । এই নিমিত্ত বলিতেছি যে, রামকৃষ্ণ ব্যতীত সমাজের উপায় নাই। গুরু রূপেই হউক, ভগবান, রূপেই হউক, কিম্বা আচার্য্য রূপেই হউক, ধৰ্ম্মজগতে রামকৃষ্ণকে আশ্রয় করা সকলের প্রয়োজন হইয়াছে। র্তাহার নামের মহিমা অপার, নাম করিয়া দেখিলেই প্রাণে প্রাণে তাহারই মধুরতা উপলব্ধি হইবে ।