পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৩৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ లి88 ) বিশ্বজনীন ধৰ্ম্ম বলিলে সৰ্ব্বসাধারণের মঙ্গলকারী সনাতন ধৰ্ম্ম বুঝায়। এই সনাতন ধৰ্ম্ম প্রকটিত করা প্রত্যেক ব্যক্তিরই উদ্দেশু । অতি প্রাচীন কাল হইতে বর্তমান কালাবধি ধৰ্ম্মরাজ্যের ইতিবৃত্ত পাঠ করিলে এ কথা স্পষ্টাক্ষরে বুঝিতে পারা যায়। বৈদিক মতাবলম্বীরা সৰ্ব্বত্রে বেদবিহিত কাৰ্য্য দেখিলে সুখী হন, পৌরাণিক মতের উপাসকেরা পুরাণের আধিপত্য স্থাপন হওয়া নিতান্ত আবশ্যক বলিয়া জ্ঞান করেন, তান্ত্রিক সাধকদিগের ধারণ এই যে, তন্ত্রের সাধনাই মানবজাতির মুক্তির একমাত্র উপায়স্বরূপ । হিন্দুদিগের অন্যান্য শাখাপ্রশাখা ধৰ্ম্মসম্প্রদায়ের ব্যক্তিরাও নিজ নিজ উপাস্ত দেবতা ও সাধনপ্রণালীকে জগতের উপাস্তদেবতা ও সনাতন ধৰ্ম্ম প্রণালী বলিয়া মুক্তকণ্ঠে প্রকাশ করেন । মহম্মদীয় ও খ্ৰীষ্টায় ধৰ্ম্মানুষ্ঠান ব্যতীত প্রত্যেক নরনারী কাফের ও হিদেনশ্রেণীভুক্ত, তাহাদের কস্মিনকালে কোন স্থত্রে কল্যাণ হইবার সম্ভাবনা নাই, ইহাই মুসলমান ও খ্ৰীষ্টানদিগের সংস্কার। ফলে, সকলেই আপনাপন ধৰ্ম্মকেই পরিত্রাণের নিদানস্বরূপ জ্ঞানপূৰ্ব্বক জগতের কল্যাণার্থ তাহাই প্রচার করিয়া থাকেন । যে সময়ে হিন্দুস্থানে স্বাধীনতা-সুর্য্য উদিত ছিল, সে সময়ে যে যে ভাবের প্রাবল্য হইয়াছিল, সেই সেই ভাবেরই প্রচার হইত। বেদের সময়ে বৈদিক, পুরাণের সময়ে পৌরাণিক, তন্ত্রের সময়ে তান্ত্রিক এবং বুদ্ধাবতারে বৌদ্ধধৰ্ম্মের কাৰ্য্য হইয়াছে। মুসলমানদিগের অধিকার কালে মহম্মদীয় ধৰ্ম্ম প্রচার হয়। এই প্রচারকার্য্যকালে সমূহ বলপ্রয়োগও হইত। বর্তমানকালে খ্ৰীষ্টমতাবলম্বী জাতির একাধিপত্য বিধায়, খ্ৰীষ্টধর্মেরই বহুল প্রচার হইতেছে। এইরূপে যে ধৰ্ম্মের দিকে দৃষ্টিপাত করা যায়, সেই ধৰ্ম্মই যেন সনাতন ধৰ্ম্ম, সেই ধৰ্ম্মই যেন বিশ্বসংসারকে আলিঙ্গন করিবার জন্য সযত্নে বাহু