পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৩৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ૭a8 ] শাস্ত্র তাহার ভিত্তিভূমি এবং আমাদের অরণ্য ও গিরিগুহাবাসী ঋষির জাজ্জ্বল্যপ্রমাণ সত্ত্বে রামকৃষ্ণদেবকে অদ্বৈত ভাবের কার্য্য করিবার কৰ্ত্ত বলা কিরূপে ন্যায়সঙ্গত হইল ? অামি অবনতমস্তকে স্বীকার করি যে, অদ্বৈত জ্ঞান সম্বন্ধে রামকৃষ্ণদেব আবিষ্কারক নহেন। তিনি বলিয়াছেন যে, “অদ্বৈত জ্ঞান আঁচলে বাধিয়া যাহা ইচ্ছ। তাহ কর ।” অর্থাৎ অদ্বৈত জ্ঞান যাহাকে বলে, তাহ। আগ্রে লাভ করিয়া তদনন্তর যাহা ইচ্ছ। অর্থাৎ যে কোন প্রকার সাধন ভজন করিতে হয়, তাহা করিলে তবে সৰ্ব্বত্রে সমতা স্থাপন হইবে। অদ্বৈত জ্ঞান ব্যতীত সমতা সংস্থাপনের দ্বিতীয় পন্থা নাই। এই কথা ইতিপূৰ্ব্বে কেহ বলেন নাই, কেহ তাহ করেন নাই, কিম্বা কেহ কাহাকে অনুষ্ঠান করিতে বলেনও নাই । আমাদের যাবতীয় ধৰ্ম্মশাস্ত্র সংক্ষেপে দুই শ্রেণীতে বিভক্ত করা যায়। অদ্বৈতজ্ঞান বিষয়ক এবং দ্বৈতজ্ঞান বিষয়ক । অদ্বৈতজ্ঞানে ইন্দ্রিয়গ্রাহ সমুদয় কাৰ্য্যকে মায়ার অন্তর্গত বলিয়া পরিত্যক্ত হইয়াছে। অদ্বৈতবাদী পরমহংস কি দশভুজার সম্মুখে মস্তকাবনত করিতে পারেন? ন। রাম কৃষ্ণ, গৌরাঙ্গ, মহম্মদ এবং খীষ্টকে অবতার, অর্থাৎ অদ্বৈত ব্রহ্মের লীলারূপ বলিয়। স্বীকার করিতে পারিবেন ? কখন না । দ্বৈতবাদীদিগের কথাই নাই । ই হারাই সাম্প্রদায়িক ধৰ্ম্মাকুষ্ঠান করেন। ই হারাই আপনাপন ভাবকে অদ্বৈত জ্ঞান কহিয়া থাকেন। অর্থাৎ যিনি যে ভাবে ধৰ্ম্ম সাধন বা শিক্ষা করেন, তিনি সেই ভাবকেই অদ্বৈত জ্ঞান বলিয়া উল্লেখ করেন এবং তাহাতে সকলকে আকর্ষণপূৰ্ব্বক সৰ্ব্বত্রে সমতা সংস্থাপন করিবার অভিপ্রায়ে সৰ্ব্বদা ব্যতিব্যস্ত হইয়া বেড়ান । ধৰ্ম্মরাজ্যের কার্য্যক্ষেত্রের প্রতি নিরীক্ষণ করিলে এই দেখা যায় যে, অদ্বৈতজ্ঞানীরা দ্বৈতজ্ঞানকে পরিত্যাগ করেন এবং দ্বৈত ভাবের