পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৩৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ లిటరి ) হাইড্রোজেন, নাইট্রোজেন, ক্লোরিণ, গন্ধক, ফসফরাস, পোটাসিয়ম্, সোডিয়ম্, ক্যালুসিয়ম্, লৌহ ইত্যাদি। এই অদ্বিতীয় পদার্থসকলের মধ্যে লৌহ এবং গন্ধক আবালবৃদ্ধবণিতার পরিচিত বস্তু। মনুষ্য শরীরে গন্ধক আছে, লৌহ আছে, একথা কি সাধারণ মনুষ্য ধারণা করিতে পারিবে ? লৌহ বলিলে তাহাদের সংস্কার আসিয়া ছুরি, কাচি, পেরেক, বঁটি, রাস্তার রেল, গঙ্গার সর্ণকো দেখাইয়া দিবে। গঙ্গার সাকোতে লৌহ আছে, তাহ মনুষ্য শরীরে কেমন করিয়া প্রবেশ করিল, এই ভাবিয়। সে কুলকিনারা দেখিতে পাইবে না। গন্ধকের ব্যবহার সকলেই জানে, ইহা অগ্নিসংযুক্ত হইলে অমনি জ্বলিয়া উঠে এবং শ্বাসক্লেশোৎপাদক কটু ধূমপুর বাহির হয়। মনুষ্যদেহে এমন কোন লক্ষণ দেখা যায় না । গন্ধকে বারুদ হয়, মনুষ্য দেহ দ্বারা বারুদ প্রস্তুভ করা যায় না। অদ্বিতীয় লৌহ এবং গন্ধকের ধৰ্ম্মের সহিত যৌগিকলৌহ এবং গন্ধকের ধৰ্ম্মের সাদৃশ্য থাকে না, পার্থিব স্থল পদার্থের রীতি এই, কিন্তু তাহ বলিয়া যে গন্ধক নাই বা লৌহ নাই, তাহ বল। যাইতে পারে না । একটা মনুষ্যশরীর যে সকল পদার্থে গঠিত হয়, ভূমণ্ডলস্থিত সমুদয় মনুষ্য সেই সেই পদার্থের সেই সেই পরিমাণে স্বষ্টি হইয়া থাকে। যখন মনুষ্যশরীর সম্বন্ধে এই জ্ঞান সঞ্চারিত হয়, তখন তাহা একপ্রকার অদ্বৈতজ্ঞান কহা যায়। এই জ্ঞান অবশ্য মনুষ্যশরীর সম্বন্ধে বলিতে হইবে । এই জ্ঞান লাভপূৰ্ব্বক প্রত্যেক মকুষ্যের কার্য্য মিলাইলে সৰ্ব্বত্রে একপ্রকারই প্রতীয়মান হয়। শোণিতের কার্য্য সৰ্ব্বত্রে সমান, অস্থির কার্য্য সব্বত্রে সমান, ইন্দ্রিয়াদির কাৰ্য্য সৰ্ব্বত্রে সমান, মস্তিষ্কের কার্য্য সৰ্ব্বত্রে সমান, দুটো হাত, দুটো পা, ইটো চক্ষু সকলেরই হয়। পরে শরীরের ভিন্ন ভিন্ন ভাবের যে প্রকার কাৰ্য্য, তাহাও সৰ্ব্বত্রে এক প্রকার। ক্ষুধায় আহার, পিপাসায় জলপান,