পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ૨6 ] অন্যান্য মিষ্টান্ন সামগ্রীর দ্বার চাতুবিধান্ত প্রস্তুত করণ পূৰ্ব্বক ভোজন করা যায়, তাহাকে বিশুদ্ধ রাজসিক ভোজন কহে । এরূপ ভোজন দ্বারা পাকাশয় অতি পরিপূর্ণ হইয়া থাকে। পাকাশয় অতিশয় পূর্ণ হইলে, শ্বাসক্রিয় দ্রুতগামী হয় এবং তজ্জনিত মনশ্চাঞ্চল্য ঘটিয়া থাকে। সুতরাং রাজসিক ও তামসিক তাহার সাধনপক্ষে এককালে নিষিদ্ধ । এই নিমিত্ত ব্ৰহ্মচারী এক সন্ধ্য হবিষ্যান্ন ভোজন করিয়া মনের স্থৈৰ্য্যবিধান করিতেন । বাসস্থান সম্বন্ধে অনেক কথ। । মচারী গুরুগৃহে বাস করিতেন । পিতামাত ভাই ভগ্নী প্রভূতি পরিজন পরিবেষ্টিত না থাকিয়; গুরুর আবাসে ক্লেশকর অবস্থায় অবস্থিতি করিতেন কেন ? পূৰ্ব্বেষ্ট বলিয়াছি যে, সংসার তমঃ এবং রজো গুণের যৌগিক স্থান । তথায় পাস করিলে মলের উপরে তাহদের ছায়। নিপতিত হইয়া মনকে বিকৃত করিয়া দেয়। যদিও কথাটা প্রথমে আমাদের কর্ণে অতিশয় কটু বলিয়: বোধ হয় যে, পিত। মাত ভাই ভগ্নী প্রতিবাসীর ভাব সৰ্ব্বাগ্রে মনের ভতরে প্রবিষ্ট হইতে না দিয়া মনকে তত্ত্বজ্ঞান লাভ করিবার উপযুক্ত হইতে দে ওয়| কৰ্ত্তব্য । কিন্তু মনের অবস্ত বিচার করিয়া দেখিলে উহাকে সাধনের বিরুদ্ধভাব বলিতে সকলেই বাধ্য হইবে ; কারণ একবার এইরূপ সাংসারিক অর্থাৎ রাজসিক ও তামসিকভাব নব মনের ধারণা হইয়। যাইলে সে সংস্কার হইতে তাহাকে আর কখন পরিমুক্ত করা যায় না,সুতরাং সত্ত্ব ভাবাবলম্বন করিতে অনেক সময়ে একেবারেই অশক্ত হইয় পড়ে । ঈশ্বর সাধনার উদ্দেশ্য বিচার করিলে সাংসারিক ভাব শিক্ষা করা কাহার ইচ্ছা নহে । যেমন প্রভু বলিতেন যে, যদ্যপি কাহাকে পশ্চিম দিকে যাইতে হয়, তাঁহাকে পূৰ্ব্বদিকের সম্বন্ধ ত্যাগ করিতেই হইবে । যে কয়ে ক্ষ পদ পশ্চিমদিকে অগ্রসর হইবে, সেই পরি